সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল আধাসেনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে প্রবেশ করে সিআইএসএফ বাহিনী। হাসপাতাল চত্বর ও হোস্টেল তাদের মোতায়েন প্রক্রিয়া চলছে।
আধাসেনার ওই দলে রয়েছেন বহু মহিলা জওয়ানও। সিআইএসএফ জওয়ান সাধারণত মোতায়েন থাকে বিমানবন্দর, খনি এলাকা, বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। সরকারি হাসপাতালে সিআইএসএফ মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়ে সেখানকার নিরাপত্তার বিষয়টিকেও বিমানবন্দর বা খনি এলাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
ক্যাম্পাসের কে বি বয়েজ এবং মেন বয়েজ হোস্টেলে তিন শিফটে ২ জন করে মোট ১২ জন জওয়ানকে মোতায়েন করা হচ্ছে। লেডিজ কমন রুম হোস্টেল, ভেরি নিউ লেডিজ হোস্টেল, ইন্টার্ন হোস্টেল, ওল্ড হাউসস্টাফ অ্যান্ড পিজি হোস্টেল, ডরমেটরি-সহ এসজিপিজি হোস্টেল, রাত্রিনিবাস হোস্টেল এবং ওল্ড অ্যান্ড নিউ নার্সিংয়ের মতো মোট ৭ হোস্টেলেও তিন শিফটে ২ দন করে মোট ৪২ জনকে নিয়োগ মোতায়েন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আরজি করের মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য সিআইএসএফ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরেই বুধবার সকালে আরজি করে যান সিআইএসএফ-এর কর্তারা। নেতৃত্বে ছিলেন বাহিনীর ডিআইজি কে প্রতাপ সিংহ। এর পর আরজি কর থেকে লালবাজারে যান তাঁরা। বুধবার রাতে ফের হাসপাতালে গিয়েছিলেন সিআইএসএফ-এর কর্তারা। তখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক দফা আলোচনা করেন তাঁরা।
সাধারণত এক কোম্পানি বাহিনীতে ৮০ থেকে ১২০ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকেন। আরজি করে থাকবে দুই কোম্পানি বাহিনী। অর্থাৎ, থাকবেন এক সুপারিন্টেন্ডেন্ট-সহ প্রায় ১৫১ জওয়ান।