ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ৩৫ ফুট উচ্চতার বিশাল মূর্তি। মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলায় গত বছর ৪ ডিসেম্বর নৌ সেনা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিশাল মূর্তির উদ্বোধন করেছিলেন। তবে মাস কয়েকের মধ্যেই ভেঙে পড়ল সেই বিশাল মূর্তি।
মহারাষ্ট্রে সিন্ধুদুর্গ জেলার দুর্গের সেই মূর্তি কেন ভাঙল, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। পূর্ত দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই ঘটনার এফআইআর দায়ের হয়েছে থানায়। সেই অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, নিম্নমানের দ্রব্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল মূর্তিটি। পাশাপাশি ওই মূর্তিতে যে নাট বল্টু ব্যবহার করা হয়েছিল, তাতে মরচে পড়ে গিয়েছিল। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের একনাথ শিণ্ডের সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা। দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘খোকা সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি প্রকাশ্যে। এই ঘটনা শিবাজি মহারাজের চরম অপমান’।
সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ভেঙে পড়ে মূর্তিটি। এ দিন মূর্তি ভেঙে পড়ার পর শিবসেনা (উদ্ধব শিবির) বিধায়ক বৈভব নায়েক রাজকোট পরিদর্শন করে বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। মাত্র আট মাসের মধ্যে মূর্তিটি ভেঙে পড়েছে। তীব্র নিন্দা করছি। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ মহারাষ্ট্রের পরিচয়। এটা তাঁর অপমান। নিম্নমানের কাজের ফলে এমনটি ঘটেছে। এর বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি জানাচ্ছি।”
পূর্ত দফতরের তরফে ওই মূর্তি নির্মাণের বরাত দেওয়া ঠিকাদার জয়দীপ আপ্টে এবং চেতন পাটিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। পূর্ত দফতরের দাবি, মূর্তিতে ব্যবহৃত নাট বল্টুতে মরচে পড়েছে। এই নিয়ে সতর্কতা জারি করা হলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে। মূর্তির স্থায়িত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। পূর্তমন্ত্রী রবীন্দ্র চ্যবন বলেন, ‘‘মূর্তি তৈরিতে ব্যবহৃত ইস্পাতে মরচে ধরতে শুরু করেছে। এই নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল পূর্ত দফতর।’’
শিবাজীর মূর্তি ভেঙে পড়ার জন্য প্রবল হাওয়াকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তাঁর দাবি, দুর্ঘটনার সময় প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছিল। যদিও সরকারের গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা।