স্রেফ সন্দেহ হয়েছিল গোমাংস ভক্ষণের, অভিযোগ তার জেরেই পিটিয়ে খুন(Mob lynching) করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর সাবির মল্লিককে(migrant worker)। তার জন্য পথে নামেনি কেউ।। কোথাও কোনো মোমবাতি মিছিল হয়নি, বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় জলজ্যান্ত ছেলেটার মৃত্যুর প্রতিবাদে নামেনি নাগরিক সুশীল সমাজ। নিহত সাবিরের পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকালে সমাজমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
কুণাল লিখেছেন, “বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় পরিকল্পিত গণপিটুনিতে নিহত বাংলার শ্রমিক সাবির মল্লিকের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক জনকে চাকরি দিচ্ছেন তিনি। তৃণমূলের তরফ থেকে আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে পরিবারকে। মুখ্যমন্ত্রী খবর রেখেছেন, যা যা করণীয় করছেন। প্রতিনিধিও পাঠান।” প্রসঙ্গত, প্রশাসনিক ও দলীয় স্তরে শুরু থেকেই মৃত পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম-সহ এক প্রতিনিধি দল গিয়েছিল বাসন্তীতে সাবিরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। সামিরুল রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের দায়িত্বেও রয়েছেন।
ওই ঘটনা নিয়ে হরিয়ানার (Haryana)মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিংহ সাইনির প্রতিক্রিয়া, ‘‘গো-পূজক গ্রামবাসীদের এই কাজ থেকে কে-ই বা নিবৃত্ত করতে পারে?’’ তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘হরিয়ানার চরখি দাদরি জেলায় বাংলা থেকে যাওয়া সাবির মল্লিক নামক এক ব্যক্তিকে গোরক্ষা বাহিনী পিটিয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ। পুলিশের বক্তব্য, গোমাংস ভক্ষণের অভিযোগে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গরুকে পূজা করা হয়, তার রক্ষকদের কে বাধা দেবে! এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে কি মারাত্মক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন।’’
দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘গত দু’দিনে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে দু’জন মুসলিমকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। হরিয়ানার সন্ত্রাসবাদীরা দাবি করেছে, বাংলা থেকে যাওয়া মুসলিম যুবক সাবির মল্লিক গোমাংস খাচ্ছিলেন। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হল, হরিয়ানার নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘আমরা কী করব!’ যদি মুখ্যমন্ত্রী এবং হরিয়ানা সরকার, গোরক্ষক সন্ত্রাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তা হলে এটা স্পষ্ট যে বিজেপি-র সায় এবং মদতেই এই পিটিয়ে মারার ঘটনাগুলি ঘটছে’। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘গত দু’দিনে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে দু’জন মুসলিমকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। হরিয়ানার সন্ত্রাসবাদীরা দাবি করেছে, বাংলা থেকে যাওয়া মুসলিম যুবক সাবির মল্লিক গোমাংস খাচ্ছিলেন। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হল, হরিয়ানার নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘আমরা কী করব!’ যদি মুখ্যমন্ত্রী এবং হরিয়ানা সরকার, গোরক্ষক সন্ত্রাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তা হলে এটা স্পষ্ট যে বিজেপি-র সায় এবং মদতেই এই পিটিয়ে মারার ঘটনাগুলি ঘটছে’।
এক্স হ্যান্ডলে রাহুল লিখেছেন, ‘যারা ঘৃণাকে রাজনৈতিক অস্ত্র করে ক্ষমতার সিঁড়িতে চড়েছেন, তাঁরা ক্রমাগত গোটা দেশে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরিও করছেন। খোলাখুলি ভাবে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। আইনকে চ্যালেঞ্জ ছঁড়ে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। বিজেপি সরকারের কাছ থেকে এই অপরাধীরা আশকারা পাচ্ছে। আর তাই তাদের এত সাহস বেড়েছে।’