প্রায় ১৫ মাস পরে জামিন পেলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বুধবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাই কোর্ট। ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণা তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল সুকন্যা মণ্ডলকে(Sukanya Mondal) গরু পাচার মামলায় ইডি গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ ওঠায় তার তদন্তে নেমে ইডি দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দিল্লিতে ডাকে। প্রশ্নোত্তরে অসংগতি মেলায় দপ্তরেই সুকন্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জানিয়েছিলেন, সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই দিতে পারবেন। অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেও সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় সুকন্যা এবং তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবার মতো সুকন্যারও ঠাঁই হয় তিহাড় জেলে। সেখান থেকে বেশ কয়েক বার তিনি জামিনের আবেদন করেছেন। এর পর থেকে তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন। দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস জেলে কাটানোর পর দিল্লি হাই কোর্টে নির্দেশে জামিন মঞ্জুর হয় সুকন্যার।
তবে তাঁকে মুক্তি দিতে বেশ কিছু শর্তগুলি আরোপ করা হয়েছে। সেগুলি হল –
১) এই মামলার শুনানির সময় সুকন্যাকে নিম্ন আদালতে হাজির থাকতে হবে।
২) তদন্তকারী অফিসারকে মোবাইল নম্বর দিতে হবে। ওই নম্বর পরিবর্তন করা যাবে না। মোবাইল যেন কাজ করে। যে কোনও সময় ফোনে পাওয়া যাবে এটা নিশ্চিত করতে হবে।
৩) দিল্লিতে তাঁকে কোথায় সব সময় পাওয়া যাবে তা তদন্তকারী অফিসারকে জানাতে হবে।
৪) নিম্ন আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না।
৫) কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ বা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা যাবে না। কোনও সাক্ষীর প্রভাব খাটানো বা হুমকি দেওয়া যাবে না।
৬) যে কোনও ধরনের অপরাধমূলক কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে।
সুকন্যার জামিনে মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে বীরভূম জেলার তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘আমাদের কাছে এটা নিঃসন্দেহে স্বস্তির খবর। আমরা কেষ্টদার মুক্তির অপেক্ষায়। সেটাও আশা করছি তাড়াতাড়িই হবে।’’