নবান্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে একটা প্রবল স্নায়ুর লড়াই শুরু হয়েছে। সুতরাং এখনই বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের বেশ কয়েক দফা শর্ত রেখে এদিনই নবান্নে আলোচনায় যোগ দিতে গেলেন না। এবং সেই সুযোগটা আবার কৌশলে লুফে নিল নবান্নও। সন্ধেয় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাস্থ্য প্রতি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিলেন, কোনও শর্ত দিয়ে আলোচনা হয় না। নবান্ন চায় খোলামনে আলোচনায় আসুন জুনিয়র ডাক্তাররা।
চন্দ্রিমা বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, আমরা সেই নির্দেশকে মান্যতা দেব। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। গতকাল বিকেল ৫টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী কোনও নেতিবাচক পদক্ষেপ করেননি। সরকারের তরফে কিছু করা হয়নি। কিন্তু, এ বারে সুপ্রিম কোর্ট যা যা বলেছে, সেগুলি মেনে চলতে আমাদের আর কী কী পদ্ধতিগত ব্যাপার রয়েছে, সেগুলির দিকে আমরা লক্ষ রাখছি। কোনও রোগীকে বঞ্চিত করা, কোনও সঠিক পদক্ষেপ নয়। জুনিয়র ডাক্তারদের বলব, রাজনীতির উস্কানির মধ্যে পড়বেন না। আপনারা যে মহৎ পেশায় এসেছেন, সেই পেশার কর্তব্য পালন করুন।”
চন্দ্রিমা আরও বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের কথা শুনে মনে হচ্ছে, তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন। এভাবে রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয় না। আমরা চাই, আপনারা রাজনীতির খেলা ছেড়ে খোলামনে আলোচনায় আসুন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দুপুরে মুখ্যসচিব মেল করে নবান্নে আসার জন্য আহ্বান জানালেন ১২-১৫ জনকে। কিন্তু সেই মেলের উত্তর এল প্রায় দু’ঘণ্টা পরে। সেখানে কিছু শর্ত দেওয়া হল। সেটি লাইভ টেলিকাস্ট হবে, মুখ্যমন্ত্রীকে থাকতে হবে, তাঁদের দাবিগুলি নিয়েই কথা বলতে হবে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, রাজ্য সরকার খোলা মনে বসতে চাইছে। কোনও শর্ত সাপেক্ষে নয়। খোলা মন এবং শর্ত— দু’টি একসঙ্গে চলতে পারে না।