আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় শনিবার রাতে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। শুধু সন্দীপ নন, এই মামলায় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারী। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে সিবিআই বার বার দাবি করেছে, ঘটনার তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। এমনকি ঘটনাস্থল বিকৃত করা হয়েছে বলেও শীর্ষ আদালতে সওয়াল করে সিবিআই। এফআইআর দায়ের দেরিতে করা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার গ্রেফতার করা হয় সন্দীপ এবং অভিজিৎ-কে।
তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে শনিবার রাতে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রবিবার সকালে সিজিও থেকে ওসি টালাকে মেডিক্য়াল টেস্টে নিয়ে যাওয়ার সময় সিজিওর সামনে তাকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখান জনতা।
সূত্রের খবর, মেডিক্যাল টেস্টের পর টালা থানার ওসিকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাবে সিবিআই। একই সঙ্গে জেল হাজতে থাকা সন্দীপ ঘোষকেও ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনে তথ্য লোপাটের অভিযোগে এদিন ফের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ডাক্তারি ছাত্রীর দেহ। ঘটনার পর কেন খুনের মামলা রুজু না করে অস্বাভাবিক মামলা রুজু করা হয়েছিল, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকি ক্রাইম সিন সুরক্ষিত না করার গুরুতর অভিযোগও রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে শীর্ষ আদালতেও তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল কলকাতা পুলিশ।′