জুনিয়র ডাক্তারদের শর্ত মেনে নিল রাজ্য সরকার। ইমেল করে তা জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
শেমেশ হচ্ছে বৈঠক। এদিন জুনিয়র ডাক্তাররা মেল করে জানিয়ে দিলেন, শনিবার রাতে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে পুরোপুরি পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। ফলে এখন বৈঠকের ভিডিও অত্যন্ত জরুরি। তবে তা সম্ভব না হলে কার্যবিবরণী দিলেই হবে বলে জানান তাঁরা।
এর পরে মুখ্যসচিবের তরফে পাল্টা মেল করে তাঁদের বৈঠকে ডাকা হয়। অর্থাৎ কার্যবিবরণীর শর্তে রাজি হয়েছে সরকার। এখন দেখার শেষমেশ কী হয় বৈঠকে।
এদিন বেলা ৩টে ৫৩ নাগাদ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ইমেল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা স্পষ্ট জানান তাঁদের তরফ থেকে মিটিংয়ের ভিডিও করতে চান তাঁরা। তা না হলে, মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে যে ভিডিও করা হবে তা আনএডিটেড অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারদের হাতে তুলে দিতে হবে। তাও সম্ভব না হলে রেকর্ড করতে দিতে হবে মিনিটসের সই।
স্বাস্থ্য ভবনের কাছে সাত দিন ধরে অবস্থান করছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যাওয়ার জন্য সেখানে এসে পৌঁছেছে বাস।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে সোমবার বিকাল ৫টায় আবার জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকা হয়েছে। এই মর্মে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ আন্দোলনকারীদের ইমেল করেছেন। বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার রাতের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর সোমবার সকালে ফের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ই-মেল পাঠায় রাজ্য সরকার। বিকেল পাঁচটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে যোগ দিতে অনুরোধ করা হয় জুনিয়র ডাক্তারদের।
তারপরেই নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুরু হয় অপেক্ষা, তবে কি এবার কর্মবিরতি ওঠার অপেক্ষা!