আরজি কর কাণ্ডে DYFI রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI। সেই তলব পেয়ে বৃহস্পতিবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে যান মীনাক্ষী। সিবিআই দফতরে ঢোকার মুখে ফের একবার মীনাক্ষীর নিশানায় কলকাতা পুলিশ। “পুলিশ জোর করে মৃতদেহ বের করছিল, আমরা গাড়ি আটকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দু’টো মিনিট কথা বলতে চেয়েছিলাম।” সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের সোচ্চার দাপুটে বামনেত্রী।
ঠিক কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে ডাকা হয়েছিল সেই বিষয়টি পরিষ্কার করেননি বাম যুবনেত্রী। তিনি বলেন, ‘নির্যাতিতার খুনের ঘটনার দোষীদের শাস্তির দাবিতে গোটা রাজ্যের মানুষ লড়ছে। দোষীরা যাতে দ্রুত শাস্তি পায়, তার জন্য তদন্তে সাহায্য করার জন্যেই আমায় ডাকা হয়েছিল। আমি সেই সাহায্য করেছি।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে কিছু বহিরাগত ঢুকে তাণ্ডব চালায়। সেই বহিরাগতদের মধ্যে DYFI-এর পতাকা নিয়ে কয়েকজনকে দেখা গিয়েছিল। সেই হামলার ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।
জানা গিয়েছে, আরজি কর খুনের তদন্তে নেমে সিবিআই বেশ কয়েকটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল। তার থেকেই একটা ফোন ঘেঁটে জানা যায়, ৯ অগস্টের রাতে সল্টলেকের সেই হোটেল বা গেস্টহাউজে ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। অনলাইন অ্যাপে সেই ঘরটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই সিবিআই আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট গেস্টহাউজের কর্মীদের তলব করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে জানা গিয়েছে, সেই রাতে হোটেলে থাকা ব্যক্তির নাম আশিস পাণ্ডে। সেই আশিস নাকি আবার সন্দীপ ঘোষের ‘ডান হাত’। আশিস নাকি অভীক দে-র ঘনিষ্ঠও ছিলেন। এই আবহে ৯ অগস্ট কেন এই আশিস বিধাননগরের হোটেলে রাত কাটান, তা নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই। আর তাই আজ হোটেল কর্মীদের তলব করে জেরা করা হয়।