রাজ্যে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে কার্যত পুজোর আগেই বানভাসি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর আরো একটি নিম্নচাপ চোখ রাঙাচ্ছে সাগরে। যার কারণে পুজোর ঠিক শুরুতেই নিম্ন চাপের গ্রাসে পড়তে চলেছে গোটা বাংলা। আগামীকাল এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। যার যদি রবি-সোমবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহযোগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আন্দামান সাগর একটি ঘূর্ণাবর্ত্য অবস্থান করেছে। সোমবার এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। এরপর আন্দামান সাগর থেকে ক্রমশ এটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এগিয়ে আসবে। এরপর এটি অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকবে। যার ফলে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকা গুলোতেও রবিবার থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে মৌসুম ভবন। একই পরিস্থিতি হবে কলকাতাতেও।
তবে শুধু এখানেই শেষ নয়, আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আরো খবর অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহ জুড়ে চলবে বৃষ্টিপাত। এদিকে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতেই বাংলায় শুরু উৎসবের মরশুম। তাই শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের আগে আবহাওয়া দপ্তরের এই পূর্বাভাস চিন্তায় ফেলেছে পূজা উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে সাধারণ বাঙালি কেউ। অর্থাৎ সবমিলিয়ে পূজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া দফতর। তবে এই কয়েকদিন এই নিম্নচাপ সংঘটিত হওয়ার কারণে আবহাওয়া আদ্রতা জনিত থাকার কারণে অস্বস্তি
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই বানভাসি হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া সহ দুই মেদিনীপুর। ভয়াবহ পরিস্থিতি হুগলির খানাকুল সহ পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। ভেঙে গিয়েছে একের পর এক নদী বাঁধ। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত বাদ মেরামত সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।