Badlapur encounter sparks blame game: 'How handcuffed accused opened fire?'

Badlapur: হাতকড়া পরা অবস্থায় অভিযুক্ত গুলি চালালো কিভাবে? এনকাউন্টার নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

পুলিশের বন্দুক কেড়ে পালানোর চেষ্টা ভয়ংকর অপরাধে অভিযুক্তের, তার পর পুলিশের পালটা গুলিতে মৃত্যু। উত্তরপ্রদেশ, অসম, হায়দরাবাদের সেই একই ছবির পুনরাবৃত্তি হল মহারাষ্ট্রে। বদলাপুরে দুই স্কুলছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় সোমবার এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে মূল অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডের। তবে এই ঘটনা নিছক সাধারণ ঘটনা হিসেবে মানতে নারাজ অক্ষয়ের মা। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের এনকাউন্টারের পিছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র।

সোমবার সন্ধ্যায় তালোজা জেল থেকে অক্ষয়কে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য গিয়েছিল পুলিশ। তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দায়ের করা এক পৃথক মামলায় তাঁকে জেরা করার অনুমতি পেয়েছিল তারা। জেল থেকে ফেরার পথে মুম্বরা বাইপাসের কাছে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের পিস্তল কেড়ে নিয়েছিলেন অক্ষয়, এমনই অভিযোগ। তার পরই ওই কনস্টেবল লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় অক্ষয়ের। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান অক্ষয়ের মা।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্ষয়ের মা বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে হত্যা করা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। পুলিশই আমার ছেলেকে খুন করেছে।’’ ছেলের মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেছেন তাঁর মা। দাবি, যত ক্ষণ পর্যন্ত না এই খুনের তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণ দেহ নেবেন না। অক্ষয়ের মায়ের দাবি, জেলের মধ্যে পুলিশ তাঁর ছেলেকে অত্যাচার করত। মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। অক্ষয়ের মায়ের প্রশ্ন, তাঁর ছেলে বাজি ফাটলে রাস্তায় বার হতে ভয় পেত, সে কী ভাবে পুলিশের বন্দুক কেড়ে গুলি চালাবে? পুলিশ মিথ্যে দাবি করছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরা্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখও। তিনি বলেন, ‘হাতকড়া পড়া অবস্থায় কিভাবে একজন পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালাতে পারে। এটা গোটাটাই একটা নাটক ওই স্কুলটি বিজেপি নেতার প্রমাণ লোপাটের জন্যই এই খুন করা হয়েছে।’