জেলের ভিতরে কোনওরকম জাতপাত মানা যাবে না। এতে সমাজে বিভেদ বাড়বে। ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের ফলে জেলের কর্মবণ্টন এবং অন্যান্য ম্যানুয়ালে আমূল বদল আসতে চলেছে।
বুধবার এক জনস্বার্থের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অনেক রাজ্যের জেল ম্যানুয়ালের মধ্যেই জাতের ভিত্তিতে কাজের বিভাজনের উল্লেখ রয়েছে। তিন মাসের মধ্যে জেল ম্যানুয়াল সংশোধন করতে সব রাজ্যকে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে দায়ের হওয়া মামলায় বলা হয়েছিল, জেলে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতের বিচার করা হয়। সাজা প্রাপ্ত বন্দিরা জেলে থাকাকালে তাদের দিয়ে নানা ধরনের কাজকর্ম করানো হয়। বিনিময়ে তারা পারিশ্রমিক পান। একটি সংস্থা দেশের একাধিক জেলের তথ্য পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে দেখিয়েছে, ব্রাহ্মণ, কায়স্তদের শারীরিক খাটাখাটুনির কাজ তেমন একটা দেওয়া হয় না। যদিও সাজাতে বলা থাকে কী ধরনের কায়িক পরিশ্রমের কাজ করতে হবে। কিন্তু উচ্চবর্ণের আসামিদের সহজ কাজ দেওয়া হয়।
এতদিনের ম্যানুয়াল অনুযায়ী, জেলে সাফাই, শৌচাগার পরিষ্কার, কাগজ কুড়নোর মতো কাজ রাখা হয় নিচুজাতের জন্য। অন্যদিকে রান্না, খাবার দেওয়ার মতো কাজ রাখা হয় উঁচুজাতের জন্য। শীর্ষ আদালত অবিলম্বে রাজ্য সরকারগুলিকে ম্যানুয়ালে সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এই ধরনের কোনও কাজ কাউকে দিয়ে করানো যাবে না যাতে জাতিগত বৈষম্য বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, জেলের রেজিস্টারে বা বিচারাধীন বন্দিদের নাম রেজিস্টারের সময় জাতপাতের উল্লেখ করারও প্রয়োজন নেই।