মেদিনীপুরের পূর্বভাগে ভূপতিনগরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সম্প্রতি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি মহিলাকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান এবং ধর্ষণ করেন। এরপর, ধর্ষণের প্রমাণ মুছে ফেলতে মহিলার মুখে জোর করে কীটনাশক ঢেলে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হলেও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পর গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং অভিযুক্তকে আটক করে গণপিটুনি দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল, কিন্তু তাতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে
এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে আরও একাধিক নারকীয় অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভকে উসকে দিয়েছে। এর আগে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরেও এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল
অন্য দিকে জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় আগেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার ময়নাতদন্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মামলার শুনানি শুরু হবে বলে খবর।
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি ময়নাতদন্ত যে কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতাল থেকে করা হোক। রাজ্যের হাসপাতাল থেকে নয়। শনিবার নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে জয়নগর। পুলিশকে ঝাঁটা হাতে ধাওয়াও করতে দেখা যায় স্থানীয়দের।