২০২৪ নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতে নিল জাপানি সংস্থা নিহন হিদানকিও। এই সংগঠন হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণু হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করে। গোটা দুনিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়াবহতাও তুলে ধরেছে তারা। আর তাই নরওয়ের নোবেল কমিটির তরফে শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে ।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, পৃথিবীকে পরমাণু বোমা থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে অসামান্য অবদান রেখেছে এই প্রতিষ্ঠান। পরমাণু বোমা যে বিশ্বের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রচারমূলক কর্মসূচি চালায় এই জাপানি প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৬ সালে তৈরি হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো ঘটনা যাতে আর কোনও দিন কোথাও না ঘটে, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই অবিরাম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নিহন হিদানকিও। তাদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে নোবেল কমিটি।
১৯৪৫ সালের ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রায় শেষ দিক। হঠাৎ রাতারাতি ধ্বংস হয়ে যায় জাপানের দু’টি শহর। ৬ অগস্ট হিরোশিমায় আছড়ে পড়েছিল পরমাণু বোমা ‘লিটল বয়’। ঠিক তার তিন দিন পরে ৯ অগস্ট নাগাসাকিতে আছড়ে পড়েছিল ‘ফ্যাট ম্যান’। তার পর থেকে গত ৮০ বছরে অনেক যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু কোনও যুদ্ধে কোনও দেশই আর পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সাহস দেখায়নি।
১৯৪৫ সালের হিরোশিমা ও নাগাসাকি হামলার পর থেকে পৃথিবীর নানা প্রান্তে পারমাণবিক অস্ত্রের বিরোধিতা করা হয়েছে। এই সমস্ত সংগঠনকে নিয়ে একযোগে কাজ করে চলেছে নিহন হিদানকিও।সংগঠনের সদস্যরা মনে করেন, দুনিয়ার সমস্ত দেশ যদি নৈতিকভাবে মনে করে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত একমাত্র তাহলেই সাফল্য আসবে। আর এই চেতনার উন্মেষ ঘটানোই এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লক্ষ্য।
নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১৯৭টি ব্যক্তিগত সম্মাননার জন্য আবেদন ছিল এবং বাকি ৮৯টি ছিল প্রতিষ্ঠানের সম্মাননার জন্য আবেদন। সকলের মধ্যে থেকে নোবেল কমিটি এ বছরের জন্য বেছে নিয়েছে পরমাণু বোমা নিয়ে কাজ করা এই প্রতিষ্ঠানকে।