প্রয়াত দেবরাজ রায়। বাংলা বিনোদন জগতের আরও এক নক্ষত্র পতন। ৬৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি অভিনেতার। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন থেকে তরুণ মজুমদার-একাধিক কিংবদন্তী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
মঞ্চ, পর্দা হয়ে দূরদর্শনে সংবাদপাঠ — সব ক্ষেত্রেই আলাদা মাত্রা যোগ করেছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী অনুরাধা রায়ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। খবর, কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সমাজমাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন, “বাংলা ছবির জগতে বিশেষ নাম দেবরাজ রায়। অনেক খ্যাতনামী পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত। ওঁকে অনেক দিন ধরে চিনি। অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। ওঁর পরিবারের প্রত্যেককে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
সত্যজিৎ রায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছবির হাত ধরে রুপোলি পর্দায় পা রাখেন তিনি। এরপর একে একে নানা হিট ছবিতে তাঁর চোখ ধাঁধানো অভিনয়।মৃণাল সেনের কলকাতা ৭১ ছবিতে দেবরাজের অভিনয় বাঙালিকে মুগ্ধ করেছিল। তরুণ মজুমদার, তপন সিংহের মতো স্বনামধন্য পরিচালকদের সঙ্গে তাঁর কাজ মন কেড়েছে দর্শকের। রাজা’ ছবিতে তাঁর অভিনয় মনে রাখার মতো। পাশাপাশি, ১৯৭৩-এ দীনেন গুপ্ত পরিচালিত ‘মর্জিনা আবদুল্লা’ ছবিতে মিঠু মুখোপাধ্যায়ের বিপরীতে তাঁর অভিনয় আরও জনপ্রিয় করেছিল তাঁকে। দেবরাজের ঠোঁটে মান্না দে-র গান আজও শ্রোতাদের প্রিয়।
পর্দার পাশাপাশি মঞ্চেও তিনি অভিনয় করেছেন। দূরদর্শনের সংবাদপাঠক হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়। ১৯৭৬ সালে তিনি বিয়ে করেন অনুরাধা রায়কে। অনুরাধাও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দিন বিনোদন জগৎ থেকে দূরে ছিলেন দেবরাজ। আগামিকাল তাঁর বিধাননগরের বাসভবন থেকে মরদেহ শেষকৃত্যের জন্য রওনা হবে।