The News Nest:
এক সপ্তাহ আগে প্রথম পূর্বাভাস দিয়েছিল হিন্দস্তান টাইমস বাংলা, সেই আশঙ্কা সত্যি করে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলেই আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় দানা। প্রাথমিক পূর্বাভাসের থেকে অনেক বেশি শক্তি নিয়ে উপকূলে আঘাত হানবে ঝড়টি। ঘূর্ণিঝড় দানার কেন্দ্রে বাতাসের গতি ছাড়াতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি।
গতকালের সুস্পষ্ট নিম্নচাপ আজ সকালে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে। ৭৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সাগর দ্বীপ থেকে। এটি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম বা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতি নিয়ে সাগরদ্বীপ থেকে পুরীর মধ্যে উপকূল ভাগে প্রবেশ করবে।
নিম্নচাপটি বর্তমানে কোথায় রয়েছে সেই নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। নিম্নচাপটি পারাদ্বীপ (ওড়িশা) থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, সাগর দ্বীপের (পশ্চিমবঙ্গ) ৭৭০কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং খেপুপাড়া (বাংলাদেশ) থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে, জানিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
২৩ অক্টোবরের মধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরে, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকলে, এটি ২৪ তারিখ সকালের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্ক প্রশাসন। আর সেই দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। সোমবার সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর কমিশনার ধবল জৈন। পরে সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ঝড় সংক্রান্ত বৈঠকেও যান তিনি। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র দাপটে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দু’দিনই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়।