বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুক্রবার ভোর ৫টার মধ্যে পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝে ধামরা বন্দরে আছড়ে পড়বে সেটি। সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আপাতত ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫৬০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬৩০ কিলোমিটার, সাগরদ্বীপ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সদ্যোজাত ‘দানা’। রাত সাড়ে ১১টার পর তা ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হবে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে শক্তি আরও বাড়বে। এই মুহূর্তে ‘দানা’র প্রভাবে সমুদ্রের উপর ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছে। বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর রাত ৮টার পর থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল ৮ টার মধ্যে উত্তর ওড়িশা ও সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি জায়গা ওড়িশার ভিতর-কণিকা ও ধামরার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফল করার সম্ভাবনা প্রবল।
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, দানার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে পূর্ব মেদিনীপুরে। ঘূর্ণিঝড় দানা স্থলভাগ অতিক্রম করার সময় স্থলভাগে এর গতি থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিমি। ওই একই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে পূর্ব মেদিনীপুরে।
পার্শ্ববর্তী জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিমি। ২৪ অক্টোবর সন্ধে থেকে ঝড়ের এই দাপট শুরু হবে। একইভাবে উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও ঝাড়গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি বেগে বইতে পারে তীব্র ঝোড়ো হাওয়া।