ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেয়েছে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গ। তবে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামরার মাঝে ‘ল্যান্ডফল’-এর পর সেই ‘ডেনা’ স্থলভাগের দিকে এগোতেই বৃষ্টি বৃদ্ধি পেয়েছে কলকাতায়। শুক্রবার সকালে ধামরা থেকে ১০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি দূরে বালেশ্বরে যত বৃষ্টি হয়েছে, ওই ধামরা থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার (সাড়ে তিন গুণ) দূরে কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে অনেক বেশি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার ভোর ৪টে থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত কলকাতায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির নিরিখে শীর্ষে রয়েছে যোধপুর পার্ক। ১০ ঘণ্টায় এখানে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, ১৪১ মিলিমিটার।
মানিকতলা ৮৩ মিলিমিটার, বীরপাড়া ৭০ মিলিমিটার, বেলগাছিয়া ৬৯ মিলিমিটার, ধাপা লক ৭১ মিলিমিটার, তপসিয়া ১০৯ মিলিমিটার, উল্টোডাঙা ৬৯ মিলিমিটার, পালমার ব্রিজ ৯৪ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়া ৭৯.৮০ মিলিমিটার, মোমিনপুর ১১১ মিলিমিটার, চেতলা লক ১০৭ মিলিমিটার, যোধপুর পার্ক ১৬৩ মিলিমিটার, কালীঘাট- ১০৫.৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
গড়িয়া ১২৪ মিলিমিটার, সি.পি.টি ক্যানেল ১১০.৪০ মিলিমিটার, দত্তা বাগান ৭৩.৫০ মিলিমিটার, জিনজিরা বাজার ৯৭ মিলিমিটার , বেহালা ফ্লাইং ক্লাব- ৯৬.৩০ মিলিমিটার, কুলিয়া টেংরা- ৭৮.২০ মিলিমিটার, পাগলাডাঙ্গা ৮৪.৬০ মিলিমিটার, চিংড়িঘাটা ৬৯.০০ মিলিমিটার, মার্কাস স্কোয়ার ৫৮.৭০ মিলিমিটার, পাটুলি ১২৯ মিলিমিটার, ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ড ১০৩.৫০ মিলিমিটার, খানখেতি খাল ১০৯ মিলিমিটার এবং জোকায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে জল জমেছে কলকাতার ঠনঠনিয়া, বিটি রোড, যোধপুর পার্ক এলাকায়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বেশ কিছু জায়গাতেও জল জমেছে। মহাত্মা গান্ধী রোড, পার্ক স্ট্রিট, থিয়েটার রোড, ক্যামাক স্ট্রিট, উত্তর বন্দর থানার কাছে স্ট্র্যান্ড রোডের একাংশ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। জল জমেছে সায়েন্স সিটির কাছেও। বেলঘরিয়া রোড, বর্ধমান রোড এবং আলিপুরের কিছু কিছু রাস্তায় জল জমেছে।