উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলির ১৭ লক্ষ পড়ুয়াদের জন্য বড় স্বস্তি। রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেই রায় খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। এইসঙ্গে যোগীরাজ্যে মাদ্রাসা শিক্ষাকে ‘সাংবিধানিক’ বলল শীর্ষ আদালত।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা আইন সংক্রান্ত মামলার রায়দান ছিল। রায় দেওয়ার সময় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, আদালত মাদ্রাসা শিক্ষা আইনের বৈধতা বহাল রাখছে। এই আইন সাংবিধানিক। ইলাহাবাদ হাই কোর্ট রায় দেওয়ার সময় আইনের মৌলিক কাঠামোগত ত্রুটির কথা বলেছিল। তা ভুল ছিল। বেঞ্চ আরও বলেছে, ‘‘এই আইন মাদ্রাসা প্রশাসনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে না।’’
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ একইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক শিক্ষার মান প্রয়োগ করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে বলেছে। রাজ্যকে মাদ্রাসা থেকে বেরনো পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট রায়দানের সময় আরও জানায়, মাদ্রাসা আইনে কিছু ধর্মীয় প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকায়, তা অসাংবিধানিক হতে পারে না। তবে এই আইনের অধীনে ‘ফাজিল’ এবং ‘কামিল’ ডিগ্রিপ্রদান অসাংবিধানিক। কারণ, এই সংশ্লিষ্ট বিধান ইউজিসি গাইডলাইনের পরিপন্থী।
২০০৪ সালে ‘উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ড শিক্ষা আইন’ আনে মুলায়ম সিং যাদব সরকার। যোগী ক্ষমতায় আসতেই মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বিদেশি অনুদান আসছে কি না, সমীক্ষা করে দেখে উত্তরপ্রদেশ সরকার। মাদ্রাসার সিলেবাস বদলেও উদ্যোগ নেয় শিক্ষা বিভাগ। এই আবহে একটি জনস্বার্থ মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষা আইনকে অসাংবিধানিক নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেই রায় এদিন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।