মার্কিন মসনদে কে তা জানতে কেবল আমেরিকাই নয়, মুখিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড, তাতে দেখা যাচ্ছে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর চলছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের।
মঙ্গলবার বিকেল থেকেই (ভারতীয় সময়) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত তথা অন্তিম পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ট্রাম্প এবং কমলার মধ্যে কে জয়ী হবেন, তা ভোটারদের সরাসরি ভোটে নির্ধারিত হবে না। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে (ফেডারেল) নির্বাচনী লড়াইয়ের বদলে জয়ী-পরাজিত নির্ধারিত হবে এক একটি প্রদেশের নির্বাচনী লড়াইয়ের মাধ্যমে।
এতদিন হওয়া বিভিন্ন সমীক্ষায় একে ওপরকে পিছনে ফেলছেন কমলা ও ট্রাম্প। তবে তাঁদের দুজনেরই ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৭টি অনিশ্চিত রাজ্য বা ‘সুইং স্টেট’- এর (অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভ্যানিয়া এবং উইসকনসিন) ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে। এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সেই হিসেবেও একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। গত সপ্তাহের তুলনায় শেষ প্রাপ্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে নর্থ ক্যারোলিনা ট্রাম্পের দখলে রয়েছে। যদিও তাঁর সমর্থন কিছুটা কমেছে। একই ভাবে জর্জিয়া ও অ্যারিজোনাতেও ট্রাম্প ০.৩ শতাংশ করে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস কিন্তু বাকি চারটি পেনসিলভ্যানিয়া, নেভাদা, উইসকনসিন ও মিচিগানে এগিয়ে রয়েছেন।
মার্কিন ভোটারেরা হ্যান্ডমার্ক করা কাগজের ব্যালট, ব্যালট মার্কিং ডিভাইস (বিএমডি), ডাইরেক্ট রেকর্ডিং ইলেক্ট্রনিক (ডিআরই)- এই তিন পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট দেন।কাগজের ব্যালট এবং বিএমডি-তে দেওয়া ভোটগুলি ‘অপটিক্যাল স্ক্যানার’ দিয়ে স্ক্যান করা হয়। স্বয়ংক্রিয় ভাবে এতে ফলাফল নথিভুক্ত করা যায়। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণনার পাশাপাশি প্রয়োজনে হাতেও ভোটগণনার ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া কয়েকটি প্রদেশে আগাম ভোটের ক্ষেত্রে চালু ‘মেইল ইন ব্যালট’ ব্যবস্থায় দেওয়া ভোটের বৈধতা যাচাই এবং গণনার প্রক্রিয়াও রয়েছে। ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাদেশিক নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে ফলাফল ফেডেরাল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করতে হবে। দুই যুযুধানের কার ঝুলিতে ভোট গেল তা জানা যাবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর।