আমেরিকায় ‘লাল ঝড়’। জনরায় নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রায় সব বুথফেরত সমীক্ষাই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে এগিয়ে রেখেছিল। কিন্তু ব্যালট বক্স খুলতেই উলটপুরাণ। প্রথম থেকেই এগিয়ে যায় রিপাবলিকানের ট্রাম্প। সেই তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে কমলা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২৭০ ম্যাজিক ফিগার পার করেছেন ট্রাম্প। তিনি ২৭৭ টি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬ টি ভোট। সাতটি সুইংয়ের মধ্যে ৬ টি তেই জিতলেন ট্রাম্প। ৫০ প্রদেশের মধ্যে বেশির ভাগই ট্রাম্পের রিপাবলিকানদের দখলে।
ইতিমধ্যেই সেনেটের অর্থাৎ দুই কক্ষবিশিষ্ট মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষের দখল পেয়েছে রিপাবলিকানরা। যার ফলে আগামী বছর মার্কিন কংগ্রেসের একটি কক্ষে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ট্রাম্পের দলের। হাউস অফ কমন্স অথবা নিম্নকক্ষ জনপ্রতিনিধিসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২১৮। হাউসের ৪৩৫ আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৮৪টিতে জয়ী হয়েছে ট্রাম্পের দল। অন্য দিকে, ১৫৮টিতে জয় পেয়েছে কমলার ডেমোক্র্যাট দল। বহু আসনে এখনও গণনা বাকি।
অন্যদিকে, ২০২০ সাল থেকে ১০০ আসনবিশিষ্ট সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। চার জন নির্দল সেনেটরের সমর্থনে ৫১টি আসন নিয়ে এত দিন কমলার দলের দখলে ছিল সেনেটের নিয়ন্ত্রণ। অন্য দিকে, ট্রাম্পের দলের ছিল ৪৯টি আসন। কিন্তু মাত্র দুই আসনের ব্যবধান মুছে ফেললেন রিপাবলিকানরা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গেই সেনেটের ৩৪টি আসনে নির্বাচন হয়। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এবং ওহিয়ো আসনে রিপাবলিকান প্রার্থী জয়ী হওযার পরেই স্পষ্ট হয়, সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটরা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে প্রার্থীই জিতুন না কেন, নতুন কোনও আইন পাশ করাতে গেলে এই দু’টি কক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে এ ক্ষেত্রে সেনেটের গুরুত্ব খানিকটা হলেও বেশি। বিভিন্ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট-সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে জয়ী প্রার্থীদের নিয়োগপত্র সুপ্রিম কোর্ট পেশ করে সেনেটই। তাই হাউস ও সেনেটের ভোট সাধারণ নির্বাচনের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই চার বছর পরে সেনেটের দখল নিয়ে রিপাবলিকানরা অনেকটা স্বস্তিতে রইলেন বলে মনে করা হচ্ছে।