সিআইডি’র সাইবার সেলের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের ( Himachal Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। অনুষ্ঠান শেষে সিআইডি’র কনফারেন্স রুমে শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক পূর্ব নির্ধারিত ছিল। সেখানে তাঁকে চায়ের সঙ্গে সিঙ্গারা এবং কেক দেওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবেশন করা হয়নি। কোথায় গেল মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পাঁচতারা হোটেল থেকে আনানো সিঙ্গারা ও কেক? উধাও রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে হিমাচল প্রদেশের সিআইডি। পাঁচ অধস্তন অফিসারকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরিয়েছে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থাটি।
তবে সিআইডি আধিকারিকরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, কোনও তদন্ত শুরু করা হয়নি। এটি সিআইডির অভ্যন্তরীণ বিষয়। হিমাচল প্রদেশ সিআইডির ডিরেক্টর সঞ্জীব রঞ্জন ওঝা জানিয়েছেন, এটি নিতান্তই একটি সাধারণ বিষয়। খাবারের বাক্সগুলি কোথায় গেল তা নিয়ে শুধু আলোচনা হয়েছিল। কোনওরকম তদন্ত হয়নি, শুধু বাক্সগুলির কী হল তা জানতে আবেদন করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পাঁচ পুলিশ আধিকারিককে শো-কজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। তার মধ্যে একজন মহিলা পুলিশ ইন্সপেক্টরও রয়েছেন।
তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী কাজের অভিযোগ উঠছে। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজের স্বাস্থ্যের কারণে সিঙাড়া খান না। সেক্ষেত্রে কেন তাঁকে সিঙাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তো সিঙাড়া পৌঁছল না। তবে, সেগুলো গেল কোথায়? সূত্রের খবর, তিন প্যাকেট সিঙাড়া এবং কেকের বাক্স মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকদের কাছে দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে আদৌ মুখ্যমন্ত্রীর প্যাকেটটি ছিল না তা এখনও জানায়নি সিআইডি। পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক আধিকারিককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সমন্বয়ের অভাবেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
সুখুর শিঙাড়া খেল কে? এই ঘটনা নিয়েও রাজনৈতিক রসিকতার পাশাপাশি কটাক্ষও শুরু হয়েছে গিয়েছে হিমাচলে। মুখ্যমন্ত্রী সুখুর ‘অপূর্ণ রসনাতৃপ্তি’ নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি বলেছে, এই সরকার রাজ্যের উন্নয়নের কথা না ভেবে শিঙাড়ায় মজে রয়েছে। রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক এবং দলের মিডিয়া সেলের প্রধান রণধীর শর্মার টিপ্পনী, ‘‘হিমাচলের মানুষ সমস্যায় জর্জরিত, আর সরকার শিঙাড়ার খোঁজে তদন্ত করছে!’’