দুর্গাপুজোয় ছিল ৩৫, কালীপুজোয় ৪০, জগদ্ধাত্রীতে পেঁয়াজের দাম এসে ঠেকল ৮০ টাকা কিলোয়। পেঁয়াজকে অনেক পিছনে ফেলে রসুন ৪০০ টাকা কিলোতে পা দিয়েছে। তার সঙ্গে সামান্য পিছিয়ে রয়েছে আদা। পুরনো আদা ঠেকেছে ৩০০ টাকা কিলো। আর সবেমাত্র বাজারে পা রাখা নতুন আদা (যা সহজে পচে যায়) ১৫০ টাকা কিলোয় বিকোচ্ছে। সব মিলয়ে মাছেভাতে বেঁচে থাকা বাঙালির পাতে মাছের ঝোল রান্নাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।
দিনকয়েক আগেও কলকাতা-সহ দেশের একাধিক শহরে প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম ঘোরাফেরা করছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। কিন্তু গত তিন-চারদিনে লাফিয়ে বেড়েছে পিঁয়াজের দাম। দিল্লি এবং মুম্বইয়ে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৭০ এবং ৮০ টাকা দরে। কলকাতায় এক কেজি পেঁয়াজের দাম ৮৫ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। আমজনতার প্রশ্ন, এবার কি তাহলে সেঞ্চুরি হাঁকাবে পিঁয়াজের দাম?
প্রশ্ন উঠছে, শীতের দোরগোড়ায় এসে কেন আচমকা এইভাবে বেড়ে চলেছে পিঁয়াজের দাম? নেপথ্যে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। গত লোকসভা নির্বাচনে পিঁয়াজচাষিদের ভোটের বড় অংশই যায়নি বিজেপির ঝুলিতে। পিঁয়াজ চাষের জন্য বিখ্যাত এলাকাগুলো থেকে বহু জেতা আসন গেরুয়া শিবিরের হাতছাড়া হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, পিঁয়াজের দাম বাড়িয়ে কৃষকদের মন জিততে চাইছে সেরাজ্যের মহা জুটি সরকার। তার জেরেই বাজারে অগ্নিমূল্য হয়ে উঠেছে পিঁয়াজ।
আবার পেঁয়াজ-রসুনের ব্যবসাদারদের মতে, বাংলাদেশ আমদানি শুল্ক তুলে নেওয়ায় রফতানি বিরাট পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। আর অন্য দেশে রফতানি করতে গিয়ে দেশের বাজারে টান পরে গিয়েছে। অর্থাৎ হিমঘরের পেঁয়াজ-রসুন কমতির দিকে চলে গিয়েছে। এখন নতুন ফসল ওঠা অবধি অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই।