Rimjhim Sinha: Reclaim the Night leader Rimjhim Sinha's LinkedIn profile bio has sparked controversy

Rimjhim Sinha: ‘রাত দখলের ডাক’ এখন রিমঝিমের পেশাগত ‘যোগ্যতা’, লিখলেন চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইটে

যে রাত দখলের ডাক তাঁকে ‘বিখ্যাত’ করেছিল, সেই ‘রাত দখল’ই তাঁকে বিতর্কিত করে তুলল। তিনি রিমঝিম সিনহা।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী এবার তাঁর লিঙ্কডইন প্রোফাইলে নিজের পরিচয় হিসেবে লিখলেন, ‘রিক্লেম দ্য নাইট- কি ক্যাম্পেইনার’ (Reclaim the night- key campaigner)। অর্থাৎ রাত দখলের ডাক দেওয়ার প্রথম ও প্রধান সূত্রধর।

উল্লেখ্য, লিঙ্কডইন ঠিক আর পাঁচটা সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের মতো নয়। সেখানে সকলে মূলত কাজ খোঁজার সূত্রে লোকজন প্রোফাইল খোলেন। প্রোফাইলে নিজের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও পেশাদারি দক্ষতার বর্ণনা থাকে। যা দেখে কাজের প্রয়োজনে ঘরোয়া বা বহুজাতিক সংস্খা কর্মী বা পেশাদার বা পরামর্শদাতা খুঁজে নেয়। বিভিন্ন কোম্পানির প্রোফাইল দেখে সেখানে আবেদনও করতে পারেন কর্মপ্রার্থীরা।

পুরোপুরি পেশাদার সে প্ল্যাটফর্মে রিমঝিম কাজ খোঁজার জন্য লিখেছেন, তিনি অনুবাদ করা বা সাবটাইটেল লেখার কাজ করতে পারেন। তবে তার আগেই উল্লেখ করে বসেছেন, ‘রাত দখলের ডাক দেওয়ার কাণ্ডারি’ ছিলেন তিনিই।

আর এরপরেই সমাজমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, রিমঝিম কি রাত দখলের আন্দোলনকে বিপণন করছেন? না-হলে কাজ খোঁজার জায়গায় আন্দোলনের প্রসঙ্গ আসবে কেন? কেনই বা ‘সাফল্যের মাপকাঠি’ হিসাবে তিনি ওই পরিচয় লিখবেন? তা-ও আবার শুরুতেই।

তিনি কি রাত দখলকে বিপণন করছেন? রিমঝিমের জবাব, ‘‘একেবারেই নয়।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘লিঙ্কড্‌ইন যখন তৈরি হয়েছিল, তখন এটা কাজ খোঁজার মঞ্চ থাকলেও এখন আর তা নেই। এখন ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার), ইনস্টাগ্রামের মতোই এটি একটি সমাজমাধ্যম। যেখানে বহু মানুষ তাঁদের রাজনৈতিক মতামত রাখেন।’’ রিমঝিমের এ-ও যুক্তি, ‘‘যে বয়সের ছেলেমেয়েরা রাত দখলে নেমেছিলেন, আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন, তাঁরা রয়েছেন লিঙ্কড্‌ইনে। সেই কারণেই আমি ওখানে আমার প্রোফাইলে ওই রিক্লেম দ্য নাইটের কথা লিখেছি।’’ অনেকেই রিমঝিমের যুক্তি মানছেন না।