মেইতেই গোষ্ঠীর ছয় জন নিখোঁজ ছিলেন সোমবার থেকে। শুক্রবার রাতে বরাক নদীতে ভেসে থাকতে দেখা যায় তিনটি দেহ। উদ্ধার করে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। তারপর শনিবার দুপুরে আরও তিনটি দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে সেই দেহগুলিকেও। যে ছয় জনকে কুকি জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল, তাদের দেহই পাওয়া গেল বলে মনে করছে পুলিশ। এর মধ্যে তিন মহিলা ও তিন শিশু রয়েছে।
মৃতদের নাম ইয়ুরেনবাম রানি দেবী (৬০), তেলাম থোবি দেবী (৩১), তেলাম থাজামানবী দেবী (৮), লৈসরাম চিঙ্গখেইঙ্গানবা সিং (২ বছর ৫ মাস), লৈসরাম লাঙ্গাম্বা সিং (৮ মাস)। আরেকজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
সোমবার রাজ্য সরকারি কর্মী লৈসারাম হেরোজিত নামের এক ব্যক্তির দুই সন্তান, স্ত্রী, শাশুড়ি ও শালিকে অপহরণ করে আটক করা হয়। তাদেরই দেহ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। ছ’জনের দেহ উদ্ধারের পর গোলমালের আশঙ্কায় ইম্ফল পশ্চিম এবং ইম্ফল পূর্বে কার্ফু জারি করা হয়েছে। বন্ধ সাত জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা।
মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ১০ কুকি জঙ্গি। যদিও কুকি সম্প্রদায়ের দাবি, নিহত ১০ জন ছিলেন ‘গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী’। তাঁদের দেহ মিজ়োরামে নিতে চেয়ে গত সোমবার থেকে শিলচরের হাসপাতালের মর্গ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কুকিরা। শনিবার সকালে পুলিশ ১০ জনের দেহ নিয়ে কুকি অধ্যুষিত চুরাচাঁদপুরের দিকে রওনা হলে তাদের ঘেরাও করেন কুকিরা। বিক্ষোভ দমন করতে লাঠি চালায় পুলিশ। এই ঘটনার পরে সতর্ক অসমের পুলিশও।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের সংঘাতে উত্তপ্ত মণিপুর। ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ। নিহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি।