ওয়ানড়ের (Wayanad) উর্বর জমিতে প্রথমবার নির্বাচনী ভাগ্যপরীক্ষায় নেমে প্রত্যাশিতভাবেই ছক্কা হাঁকালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। সংসদীয় রাজনীতির অভিষেক-ম্যাচেই সাড়ে ৪ লাখের বেশি ভোটে জিতে গেলেন গান্ধী পরিবারের দুলারি। এদিন বিকেলের মধ্যে ৪,০৮,০৩৬ ভোটের ব্যবধানে ওয়ানাড় কেন্দ্রে জেতেন প্রিয়ঙ্কা।
প্রায় ২ দশক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতির ময়দানে থাকলেও ভোট রাজনীতিতে এটাই কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের হাতেখড়ি। প্রিয়াঙ্কার এই ভোট অভিষেককে স্মরণীয় করে রাখতে প্রাণপাত করেছে গোটা কংগ্রেস দল। লক্ষ্য ছিল, অন্তত পাঁচ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জেতানো জাতীয় স্তরে দলের অন্যতম মুখকে। কিন্ত উপনির্বাচনে ভোট অনেক কম পড়ায় সেই লক্ষ্য পূরণ হয়তো হবে না। তবে প্রিয়াঙ্কা জিতছেন একপেশে ভাবেই। কেরলের ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে সিপিআই। বিজেপির নব্যা হরিদাস ওই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানেই। এখানে ভোটদানের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। চলতি বছরের লোকসভা ভোটে এখানে ভোটদানের হার ছিল ৭২ দশমিক ৯২ শতাংশ।
২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী যখন এখানে প্রথমবার ভোটে লড়েন তখন ভোটদানের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে প্রথমবার ভোটে লড়েই রেকর্ড মার্জিনে জিতলেন প্রিয়াঙ্কা। এবার তিনি সংসদে গিয়ে বসবেন তার ভাই রাহুলের সঙ্গে। ওয়ানাড় লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে রাহুল গান্ধী জিতেছিলেন ৩,৬৪,৪২২ ভোটে। সেই হিসাবে মাত্র ৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে এবার সেই আসনটি ধরে রাখলেন প্রিয়ঙ্কা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাম গণতান্ত্রিক মোর্চার সিপিআই প্রার্থী সত্যান মোকেরি পেয়েছেন ২ লক্ষ ৯ হাজার ৯০৬টি ভোট এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপির নব্যা হরিদাস। তিনি পেয়েছেন এক লক্ষ ৯ হাজার ২০২টি ভোট।
এদিন জয়ের পর ওয়েনাডবাসীকে ধন্যবাদ জানান প্রিয়াঙ্কা। ভোটের প্রচারের সময় তিনি কৃষকদের পাশে থাকের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটাই এই ভোটে বড় ফ্যাক্টর হয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।