Opposition Pushes for Adani Bribery Debate, Modi Government Under Pressure

Adani: আদানির ঘুষ নিয়ে আলোচনা চাইছে বিরোধীরা, চাপে পড়তে পারে মোদী সরকার

আমেরিকায় ঘুষকাণ্ডে আদানি গোষ্ঠীর নাম জড়ানো নিয়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আলোচনা চাইল বিরোধীরা। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে রবিবার সকালে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকেই এ বিষয়ে নিজেদের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। অধিবেশনে আদানি গোষ্ঠীর বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও মণিপুরের অশান্তির প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা চেয়েছেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেরা। সর্বদল বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি।

এদিকে গৌতম আদানি এবং তাঁর সংস্থার কয়েকজনের বিরুদ্ধে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের টেন্ডার পাওয়ার জন্য ভারতের সরকারি আধিকারিকদের বিরাট অঙ্কের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাতে সিলমোহর দিয়েছে আমেরিকার আদালত ৷ জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানাও। সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হোক ৷ এই মর্মে মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে ৷

ঘুষের মামলায় সমনও জারি হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাইপো সাগরের বিরুদ্ধে। নিউ ইয়র্কের আদালতের মাধ্যমে পাঠানো ওই সমনে বলা হয়েছে, আমেরিকার শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সিকিয়োরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) আনা ঘুষের অভিযোগের জবাব ২১ দিনের মধ্যে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রককে পাঠাতে হবে। গত ২১ নভেম্বর আমদাবাদে দু’জনের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে ওই সমন।

কয়েক বছর আগে আদানিদের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ নামে একটি সংস্থা বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছিল। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় রাজনীতির অন্দরে। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের হয়। তিওয়ারি গৌতম আদানি সম্পর্কিত এই নতুন আবেদনে করার সময় হিন্ডেনবার্গ-অধ্য়ায়ের উল্লেখ করেন। তিনি জানান, সেবি’কে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে উত্থাপিত অভিযোগগুলির তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ৷ 2024 সালের 3 জানুয়ারি সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া সেই আদেশ অনুসারে এখনও তদন্ত শেষ করতে পারেনি সেবি।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, মনে হচ্ছে সেবি এই মামলার তদন্ত করতে সক্ষম নয় ৷ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও বিষয় সম্পর্কেই নিশ্চিত হওয়া যাবে না। পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, 3 জানুয়ারি 2024-এ সুপ্রিম কোর্টের আদেশে দেওয়া তিন মাসের সময়সীমা সত্ত্বেও, সেবি এখনও পর্যন্ত তদন্তের কোনও রিপোর্ট বা তথ্য দাখিল করেনি।

সুতরাং নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বলে আইনজীবীর দাবি। পাশাপাশি আবেদনে তাঁর আরও দাবি, আদানিদের বিরুদ্ধে ওঠা পুরনো অভিযোগের তদন্ত দ্রুত শেষ করতে হবে। পাশাপাশি নতুন এবং পুরনো এই দুটি অভিযোগের মধ্যে কোনও মিল আছে কিনা সেটারও দ্রুত ও যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার।