প্যান কার্ডে বড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এবার থেকে প্যান কার্ডে যুক্ত হবে কিউআর কোড।
প্যান ২.০ প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৪৩৪ কোটি টাকা। প্যান কার্ডে কিউআর কোড ছাড়া আর কী কী সুবিধা থাকবে তা নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই প্রকল্পের নাম ‘প্যান ২.০’ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্যান কার্ডে কিউআর কোড থাকার ফলে আয়করদাতাদের আর্থিক লেনদেন অনেক সহজ এবং স্বচ্ছ হয়ে উঠবে। উন্নত মানের এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি কেন্দ্র এ-ও জানিয়েছে, প্যান ২.০ প্রকল্পে প্যান কার্ডের উন্নতির সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর দিকেও জোর দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত তথ্য এবং অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে। আর্থিক জালিয়াতির ভয় অনেকটাই কমবে।
প্যান ২.০ প্রকল্প নিয়ে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি লিখেছেন, “প্যান ২.০ প্রকল্পের মাধ্যমে আয়করদাতাদের অনেক সুবিধা হবে। তাঁরা নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে স্বচ্ছ, সহজ এবং উন্নত পরিষেবা পাবেন।” অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জানান, সরকারের লক্ষ্য ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অধীনে প্যান ২.০ প্রকল্পটি সক্ষম করা, যা নির্দিষ্ট সরকারী সংস্থার সমস্ত ডিজিটাল সিস্টেমের জন্য প্যানকে একটি সাধারণ শনাক্তকারী হিসাবে যোগ্য করে তুলবে।
এই আবহে দেশবাসীর মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে, নতুন প্যান কার্ড এলে পুরনো প্যান কার্ডের কী হবে? সেই কার্ড কি বাতিল হয়ে যাবে? নতুন কার্ডের সঙ্গে নতুন প্যান নম্বরও আসবে?কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সাধারণ মানুষকে প্যান ২.০ প্রকল্পের জন্য কোনও খরচ করতে হবে না। যাবতীয় খরচ বহন করবে কেন্দ্রই। বর্তমান প্যান নম্বর বদলও করতে হবে না। নতুন প্যান কার্ডের কাজ শুরু হলেই দেশবাসীকে সমস্ত তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে।
নতুন প্যান কার্ডের ক্ষেত্রে পুরোটাই ‘পেপারলেস’ বা ডিজিটাল হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ পকেটে কার্ড বয়ে বেড়াতে হবে না। ডাউনলোড করে রাখা যাবে মোবাইলে। ১৯৭২ সাল থেকে আয়কর আইন মেনে আয়করদাতাদের চিহ্নিত করতে প্যান কার্ডের ব্যবহার হয় ভারতে। কেন্দ্রের তরফে এখনও পর্যন্ত মোট ৭৮ কোটি কার্ড জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯৮ শতাংশ রয়েছে একক ব্যবহারের জন্য।