বাংলাদেশে গ্রেফতার ইকসনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি করে বিবৃতি জারি করলেন সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে ইউনুস সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন হাসিনা। ইউনূস সরকার সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ। মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে দেশের সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি, সবকিছুর জন্যই ইউনূস সরকারকে দায়ী করেছেন মুজিব কন্যা।
বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে মুজিবকন্যা তথা দলনেত্রীর বিবৃতি প্রকাশ করে আওয়ামি লিগ। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের উপরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এইসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই। সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
সম্প্রতি যে সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে, তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার কথা বলেছেন হাসিনা। তিনি বলেছেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে।” সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছেন মুজিব-কন্যা। সব শেষে তিনি বলেছেন, ‘নৈরাজ্যবাদী ক্রিয়াকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশের অনেকে অবসসস হাসিনার এমন মন্তব্য শুনে বলেছেন ভারতে যিনি আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন তাকে তো এমন কথা বলতেই হবে। একথা বলা ছাড়া ওর কোনো উপায় নেই। উনি ভারত বন্ধু। চিরিকাল উনি কুরসী বাঁচানোর জন্য ভারত সরকারের সুরে কথা বলেছেন। আজ তো তাকে এমন কথা আরও জোর গলায় বলতে হবে। তাকে আশ্রয় দেওয়ার এখন আর কেউ নেই। ভারতের উচিত অবিলম্বে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো।