শিব মন্দিরের জায়গায় তৈরি হয়েছে আজমীর শরীফ দরগা। এমনই দাবি জানিয়ে আজমীরের একটি আদালতের দারস্ত হয়েছিল হিন্দু সেনা। তাদের বক্তব্য ছিল, দরগায় সমীক্ষা করলেই এই তথ্য বেরিয়ে আসবে। সেই মামলা গ্রহণ করল আদালত। এই সংক্রান্ত মামলায় আদালত আজমীর দরগা কমিটি, কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক এবং এএসআইকে নোটিশ পাঠাল।আদালতের বিচারক মনমোহন চন্দেল এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
মামলাকারীদের দাবি, আজমির শরিফের খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগা শিব মন্দিরের জায়গায় তৈরি হয়েছিল। ২০২২ সাল থেকে ওই দরগাকে শিব মন্দির বলে দাবি করে আসছে তাঁরা। হিন্দু সেনা এবং মহারানা প্রতাপ সেনা নামের এই দুই হিন্দু সংগঠন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরগার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষারও দাবি করে। এখন এই বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি। আগামী ২০ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির এই দরগা আকবরের আমল থেকে বিখ্যাত। প্রতিবছর দেশ-দেশান্তর থেকে সব ধর্মের মানুষ এখানে আসেন। কয়েক শতাব্দী প্রাচীন এই দরগায় দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু থেকে নরেন্দ্র মোদী চাদর পাঠিয়েছেন। হিন্দু সেনার তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা তাঁদের যুক্তির স্বপক্ষে সবরকম তথ্য দিয়েছে আদালতে। তাতে সন্তুষ্ট হয়েই আদালত উভয় পক্ষকে নোটিস দিয়ে পরবর্তী শুনানির আগে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, এই দরগাকে সঙ্কট মোচন মহাদেব মন্দির হিসাবে ঘোষণা করা হোক। কারণ এটি শিব মন্দিরের জায়গাতেই তৈরি হয়েছিল।
এই প্রেক্ষিতে মামলাকারী ১৯১১ সালের প্রাক্তন এক বিচারপতির লেখা বইকেই হাতিয়ার করেছেন। সেখানে দরগার চারিদিকে হিন্দু দেবতাদের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তাই তাঁরা চাইছেন, দরগার যদি কোনও রেজিস্ট্রেশন থেকে থাকে তাহলে তা বাতিল করা হোক এবং এখানে আবার হিন্দুদের পুজো করতে দেওয়া হোক। দরগার তরফে অবশ্য এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, দরগার জায়গায় একটি শিব মন্দিরের অস্তিত্ব সম্পর্কে যা যুক্তি দেওয়া হচ্ছে তা ভিত্তিহীন এবং ভুল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য এই ধরনের মামলা করা হয়েছে।