শুক্রবার একাধিক শিল্পপতি এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সৌজন্য সভাগৃহে বিশেষ বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জানা গিয়েছে. বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের প্রস্তুতি নিয়েই এদিন এই বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ছাড়া এদিন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্যাথি গিলস ডিয়াজ। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত রাজ্য। এখানে বিনিয়োগের আবহ রয়েছে যে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী।
কিছুদিন আগেই মার্কিন মুলুকে বড়সড় রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। জো বাইডেনকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে বিজিবিএসের আগে এই আশ্বাস বাংলার জন্য আশাব্যাঞ্জক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। শুক্রবার আলিপুরের ‘সৌজন্য’ গৃহে বিজিবিএসের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রথম সারির শিল্পপতিরা। রাজ্যের ‘ব্র্যান্ডদূত’ হিসাবে বৈঠকে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তবে তিনি ছিলেন দিদির শিল্পপতি হিসাবে। প্রত্যাশিত ভাবেই দেখা যায়নি টলিউড তারকাদের কাউকে। চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে জড়িত বলতে ছিলেন শুধু আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান তথা পরিচালক গৌতম ঘোষ।
পশ্চিমবঙ্গের শিল্পপতিদের মধ্যে ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষ নেওটিয়া, প্রসূন মুখার্জি, রুদ্র চ্যাটার্জি, ইমামি গোষ্ঠী। এদিন শিল্পপতিদের মধ্যে প্রথম বক্তা ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বিনিয়োগ এবং কাজের জন্য সবথেকে ভাল একটা প্ল্যাটফর্ম। পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্র করেই আমার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা রয়েছে’। সিঙ্গাপুর থেকে প্রসূন মুখার্জিও জানান, বাংলায় একটা স্থায়ী সরকার রয়েছে। যে কারণে এখানে বিনিয়োগের একটা উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। উপস্থিত ছিলেন, টেকনো ইন্ডিয়ার গ্রুপের ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরীও।