পর্নোগ্রাফির মারাত্মক দিক নিয়ে মুখ খুলেলেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। ৮৬ বছর বয়সি পোপ বলেছেন, ”পর্নোগ্রাফি নামক পাপ এখন অনেক মানুষের মধ্যে ঢুকে পড়েছে…এমনকি যাজক ও নানরাও তার মধ্যে আছেন।” তিনি বলেছেন, ”শয়তান ওই পথ ধরেই প্রবেশ করে।”
অনলাইন পর্নোগ্রাফি নিয়ে সাবধান করে পোপ বলেছেন, ”এই প্রলোভন যাজক ও নানদের হৃদয়কেও দুর্বল করে দেয়।”ফ্রান্সিস বলেছেন, ”ডিজিটাল পর্নোগ্রাফির প্রলোভন আছে, যদি তা দেখা দরকার বলে আপনারা মনে করেন, তাহলে মনে করিয়ে দেব, একাজ নীতিবহির্ভূত। এ মোটেই পূণ্যের কাজ নয়। যাজক ও নানদের মধ্যেও এধরনের ছবি দেখার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।”
বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটের প্রভাব নিয়ে একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। সেখানেই তিনি বলেন, “পর্ন দেখা একটি বদভ্যাস। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ধর্মযাজক ও সন্ন্যাসিনীরাও এই ধরনের ছবি দেখায় আসক্ত। পর্ন ছবি থেকেই মনের মধ্যে শয়তান বাসা বাঁধে।” পোপ ফ্রান্সিস আরও বলেছেন, “শুধুমাত্র শিশুদের পর্নই নয়, যেকোনও ধরনের পর্ন ছবি দেখলেই আত্মা দুর্বল হয়ে পড়ে।”
পোপ জানিয়েছেন, তার মোবাইল ফোন নেই, তিনি কখনো ব্যবহারও করেননি। তার কথায়, ”অনেকে মোবাইলে খবর বা গান শোনায় আসক্ত হয়ে পড়েন। এই আসক্তি তাদের কাজে প্রভাব ফেলে।”পোপ বলেন, “ফোন থেকে পর্ন জাতীয় ছবি মুছে ফেলুন। বরং ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়াকে অন্য কাজে ব্যবহার করুন। খ্রিষ্টিয়ান হওয়ার আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিন ইন্টারনেটের মাধ্যমে।” যদিও টুইটারে পোপের ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটির উপরে, তবুও তিনি একেবারেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকেন।
ভ্যাটিকানের অন্দরে বহুবারই যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে। তবে প্রকাশ্যেই প্রতিবাদ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। পর্ন ছবির বিরোধিতাও এই প্রথম নয়। কিছুদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, পর্ন ছবি বানানো মানে নারী-পুরুষের সম্পর্কের সম্মান নষ্ট করা।