Bougainvillea: Few tricks to take care of Bougainvillea at home

Bougainvillea: গাছ ভরে ফুল দেবে বাগান বিলাস! কী ভাবে যত্নআত্তি করবেন, রইল টোটকা

সাহেবি বোগেনভিলিয়ার পোশাকি নাম কাগজফুল। উজ্জ্বল গোলাপি, কমলা, বাসন্তী সাদা-সহ নানা রঙের হয় এই ফুল। গন্ধহীন হলেও রূপে মুগ্ধ করে এই ফুলগাছ। বছরভর, বিশেষ করে শীত ও বসন্তে এই গাছে প্রচুর ফুল ফোটে। জেনে নিন কীভাবে যত্ন নিলে সারা বছর ফুলে ফুলে ভরে থাকবে আপনার বাগানের কাগজফুলের গাছ।

  • প্রথমত এই গাছটি পরিচর্যার জন্য খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই। খুব বেশি জল না দেওয়া , পর্যাপ্ত সূর্যের আলো (৫ থেকে ৭ ঘন্টা কমপক্ষে )পেলেই এই গাছ খুশি। নাইট্রোজেন যুক্ত সার কম দিলে এই গাছ ভালো থাকে।
  • এবার আসি মাটির যত্নে ,বোগেনভিলেয়া ওরফে কাগজফুলের জন্য একটু পাথুরে মাটি হলে ভালো , যাতে জল না দাঁড়ায়।১০ ভাগের ১ ভাগ মাটি, ৩ ভাগ কম্পোস্ট , ২ ভাগ লালবালি ,আর বাকি ১ ভাগে হাড়গুড়ো, নিমখোল , বা সরষেখোল দিয়ে বানিয়ে রাখতে হবে ৭ থেকে ১০ দিন আগে। মোটামুটি প্রতিস্থাপন করার পর কিছু প্রয়োজন নেই , একটু জল মেইনটেইন করতে হবে আর দেখতে হবে ওপরের মাটি ১ ইঞ্চি শুকিয়েছে কিনা।
  • ফুল না আসলে ;ওপরের মাটি একটু খুঁড়ে তাতে লাল পটাশ আর এসএসপি ( সিঙ্গেল সুপার ফসফেট ) দিন ২ থেকে ৩ গ্রাম মতো। এবার জল দিন তাতে এক দিন অন্তর একটু করে ৫ থেকে ৭ দিন।
  • কলার খোসা , কলার খোসা ভেজানো জল , কিচেন ওয়েস্ট , গোবর সার , চা পাতা বা চা পাতা ভিজানো জল গাছের ভালো বৃদ্ধি ও ভালো ফুল ধরতে সাহায্য করবে।
  • গাছের ভালো ফুল হওয়ানোর জন্য ফুল হওয়ার পর (ফুল হয়ে ঝরে যাওয়ার পর ) প্রতি মাসে গাছের ডগা গুলো ছাঁটুন।
  • গাছ এক বছর হয়ে গেলে পাত্র বদল করুন। শিকড় সামলে যতটা মাটি পাওয়া যায় ছাড়ান তারপর , ৬০% মাটি আর ৪০% কম্পোস্ট মিশিয়ে ভালো মতো জল দিয়ে কিছুদিন ছায়ায় রাখতে হবে। কিছু সার যেমন , ছাঁকা চা পাতা (১ / ২ চামচ)ভিজানো জল আর সর্ষের খোল তাতে সামান্য জল মিশিয়ে প্রয়োগ করতে পারেন গাছের গোড়ার আসে পাশে
  • বোগেনভিলেয়ার আয়ু বনসাই অবস্থায় ২০০বছর পর্যন্ত রাখা যায় আর স্বাভাবিক বাগানে ৫০ বছর আয়ু থাকে।

এবারে আসি কিছু বিশেষ জাতের কাগজ ফুল এর সন্ধানে, যা আপনার বাগানকে আরো বেশি সুন্দর করবে। সাধারণত ৩০০ -রও বেশি কাগজফুল পাওয়া যায়। যার মধ্যে অন্যতম হল :ফেয়ার ওপাল বা কিং ওপাল ( ফ্লেমও এই জাত বিশেষের একটি ), মোনালিসা রেড ( এটি গরমে হালকা গোলাপি হয়ে যায় ), স্প্ল্যাশ , মিস হল্যান্ড ,ডঃ রাও ( চিনবেন দুই রঙা পাতা দেখে ),সিলুয়েট (মিস এলিস’ও এই জাত বিশেষ ), ফার্মোসা, হিউ ইভান বা ব্লনডি , মাহারা রেড ( ভার্না হোয়াট ও চেরি ব্লসম একই জাত বিশেষ),এবং পার্থ।

বোগেনভিলেয়ার ফুল বলতে যে লাল, গোলাপি, সাদা রং দেখি… তা কিন্তু আদতে ফুল নয়। সেগুলি আসলে হল ব্র্যাক্ট। পাতাগুচ্ছের রংই বদলে অমন রঙিন দেখায়। তার মাঝে থাকে ছোট্ট ছোট্ট ফুল। তাই কৃত্রিম রঙে নয়, বারান্দা বা বাইরের দেওয়াল ভরাতে পারেন রঙিন বুগেনভিলিয়ায়। তার জন্য দরকার শুধু ধৈর্য আর স্নেহ।