Curry leaves: Tips for growing curry leaves at home

Curry leaves: কারিপাতা গাছ বাড়িতে ফলাতে কোন বিষয় খেয়াল রাখবেন

দক্ষিণ ভারতীয় রান্নায় অপরিহার্য উপকরণ কারিপাতা এখন বাংলার রান্নাঘরেও। চিঁড়ে হোক বা নোনতা সুজি, কিংবা স্বাদ বদলে অন্য রকম মুরগির মাংসের রান্নাতেও বাঙালি ফোড়নে জুড়ছে কারিপাতা। তাতে স্বাদে ভিন্ন একটা গন্ধ আসে। এ ছাড়া কারিপাতার খাদ্যগুঁণও কিন্তু প্রবল। কারিপাতায় ক্যালশিয়াম, আয়রনের পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিন থাকে। পাশাপাশি চুলের যত্নেও নারকেল তেলের সঙ্গে কারিপাতা ফুটিয়ে মাখা হয়। বর্তমানে বাংলার বিভিন্ন পদেও যেন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে কারিপাতা। চাইলে বাড়িতেই করতে পারেন কারিপাতার গাছ। এতে কী কী ধরনের বিষয় মাথায় রাখতে হয়, জেনে নিন।

  • এই গাছ গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভাল বাড়ে, তাই সেই ব্যাপারটি মাথায় রাখা খুব জরুরি।
  • ঘরে গাছ করার চেষ্টা করলেও গাছ যাতে পর্যাপ্ত আলো-হাওয়া ও বেড়ে ওঠার জায়গা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • টবে বসালে তা যেন আকারে বড় হয় সেটি যেমন খেয়াল রাখতে হবে, তেমনই গাছের ভাল ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সময় মতো অতিরিক্ত ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে।
  • একই সঙ্গে দেখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন জল না বসে।
  • কারিপাতা গাছ বেশ বড় হয়। ১৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ফলে, এই গাছের বেড়ে ওঠার জন্য অনেকটা জায়গা দরকার হয়।
  • কারিপাতা চাষের আরও একটি বড় সুবিধা হচ্ছে রোগপোকারা উপদ্রব খুব কম। পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে গাছ বাঁচাতে কিছু কীটনাশক বা নিমের সামগ্রী ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • মিলিবাগ, এফিড, পাতামোড়া প্রভৃতি পোকার কারিপাতা গাছে আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে ডায়মিথোয়েট দু’মিলিলিটার প্রতি লিটার জলে গুলে ভাল করে স্প্রে করলে উপকার মিলবে।
  • অনেক সময় পাতায় দাগ রোগ দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে কার্বেন্ডাজিম এক গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে।