বড় বড় হোটেল বা রেস্তোরাঁ বা পাহাড়ে ঘুরতে গেলে আমরা প্রায়ই দেখি ঘরের সাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্যাকটাস। কিন্তু আপনি যতবার শখ করে বাড়িতে লাগাতে গিয়েছেন, তা মারা গিয়েছে। তবে এবার আর তেমনটা হবে না। শুধু জানতে হবে আমাদের এখানকার পরিবেশে কীভাবে নেবেন আপনার শখের কাঁটা গাছের যত্ন।
- ক্যাকটাস তো বাড়িতে রাখবেন, কিন্তু তার আগে জেনে নিন আপনার বাড়ির আবহাওয়া৷ তারপর ওই আবহাওয়া অনুযায়ী ক্যাকটাস দিয়ে বদলে ফেলুন বাড়ির চেহারা৷ আপনার বাড়িতে যদি রোদের আনাগোনা বেশি হয়, তবে বাড়িতে আনুন বেশি কাঁটাযুক্ত ক্যাকটাস৷ আর আপনার বাড়িতে রোদ কম পৌঁছালেও কোন সমস্যা নেই৷ যে ক্যাকটাস কম রোদে বাঁচে বেছে নিন সেটিই৷
- ক্যাকটাস সাধারণত সয়েল লেস মিডিয়া পছন্দ করে। মানে তাতে মাটি না থাকাই ভালো। সাধারণত হলুদ বালি, কম্পোস্ট, কোকোপিট, নুড়ি, পার্লাইট ব্যবহার করে মিডিয়া তৈরি করা হয়। ৩:৩:১:২:১ অনুপাতে ব্যবহার করতে পারেন উপরে লেখা উপাদানগুলি।
- মূলত মরু অঞ্চলের গাছ ক্যাকটাস৷ তাই এই কাঁটা গাছের পরিচর্যায় খুব বেশি জলের প্রয়োজনীয়তা হয় না৷ ক্যাকটাস বসানোর পর শুরুর দিকে একদিন অন্তর জল দেওয়াই ভাল৷ বর্ষাকালে টবের মাটি ভিজে থাকা পর্যন্ত জল দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই৷ ক্যাকটাসের গায়ে যাতে জল না লাগে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে৷ নইলে ছত্রাকের আক্রমণে মারা যেতে পারে ক্যাকটাস৷
আরও পড়ুন: বাড়িতে কুকুর রয়েছে? ভুলেও যে গাছগুলি ঘরে রাখবেন না
- ক্যাকটাসের জন্য খুব বড় পাত্র না-ব্যবহার করাই ভালো। আপনার গাছের থেকে ১-২ ইঞ্চি চওড়া ডায়ামিটারের পাত্র ব্যবহার করুন। সঙ্গে প্লাস্টিক, মাটি বা চিনামাটি সবধরণের পাত্রই ব্যবহার করতে পারেন ক্যাকটাস লাগাতে। তবে মাটির টব সবচেয়ে ভালো। কারণ এই ধরনের মাটিতে জল তাড়াতাড়ি টেনে যায়।
- ক্যাকটাস কোথায় রাখবেন সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন জায়গায় গাছ রাখুন যেখানে সকালের নরম রোদ আসে। সারাদিন রোদ না পেলেও চলবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে বৃষ্টির ছাট গাছে না পড়ে। এতে শিকড় পচে যেতে পারে।
- পাতার ওপর মাকড়সার জালের মতো হলেই বুঝতে হবে আপনার বাড়ির সাধের ক্যাকটাস ‘স্পাইডার মাইটস’ রোগে আক্রান্ত৷ তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিন৷ জল দিয়ে ভাল করে পাতা ধুয়ে ফেলতে হবে৷ রোগ সারাতে ব্যবহার করতে হবে কীটনাশকও৷
- ক্যাকটাসের পট বারবার পরিবর্তন করার দরকার পড়ে না। ২ বছরে একবার করলেই হবে। বসন্তে কাঁটা গাছের বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়। তাই প্রতি বছর শীত শেষ হলে মাটির সঙ্গে কম্পোস্ট মেশান। দেখবেন গাছ বাড়ছে তরতর করে।
আরও পড়ুন: Sri Lankan Kamini: সারা বছর পাবেন ফুল, জানুন ভুটান মল্লিকা গাছের পরিচর্যা