কয়েকদিন ধরেই ফেসবুকের পাতায় ‘অদ্ভুত’ রকমের পোস্ট করছিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। কখনও তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেছেন মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করার কথা, আবার কখনও লিখেছেন, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এসবের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছবি পোস্ট করেছেন তিনি।
রবিবার রাত ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ একটি পোস্ট করেন তসলিমা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি কোনও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন। একটিতে লেখিকাকে নাকে নল ও হাতে চ্যানেল লাগানো অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, অন্যটিতে তিনি কাছের মানুষদের সঙ্গে হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন। ‘অদ্ভুত’ পোস্টের সারির পর এমন একটা ছবি প্রশ্ন তুলছে— কী হয়েছে তসলিমার?
আরও পড়ুন: World Poetry Day: আজ বিশ্ব কবিতা দিবস, কোন কোন বাঙালি কবির বই নতুন প্রজন্ম সবচেয়ে বেশি কিনছে
তবে সবচেয়ে বিভ্রান্তি বাড়িয়েছে গত ১৪ জানুয়ারি, দুপুর দেড়টা নাগাদ করা তসলিমার পোস্টটি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘গতকাল ঠিক এই সময় মৃত্যু হয়েছে আমার। এখন ফিউনারেল (শেষকৃত্য) চলছে।’’ এর পর ১৫ জানুয়ারি, সকাল ৬টা ১১ মিনিটে লিখছেন, ‘‘আমার মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করা হয়েছে।’’ ওই ছবি রবিবার রাতে পোস্ট করার কিছু ক্ষণ আগে তসলিমা কিছু নথি আপলোড করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে দিল্লির এমসে তিনি মরণোত্তর দেহদান করেছেন। একাধিক নথির একটিতে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই যেন হাসপাতালে খবর দেওয়া হয়। কারণ তাঁর দেহ দান করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি বেশ কিছু পুরনো পোস্টও শেয়ার করছেন কয়েক দিন ধরে।
গত ৬ জানুয়ারি তসলিমা তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘‘৮০ কিলো থেকে চেষ্টা চরিত্তির করে ৮ মাসে হয়েছিলাম ৫২ কিলো। ৫২র হাড় সর্বস্ব শরীর দেখে ভয়ে পিছু হটতে শুরু করলাম। ২ মাসে তড়িঘড়ি ওজন বাড়িয়ে করলাম ৫৬.৫ কিলো। এখানেই থেমে থাকুক চাইছি।’’ এই পোস্ট থেকে স্পষ্ট, তসলিমা ওজন কমাচ্ছিলেন। তা দেখে অনেকে লিখেছেন, দ্রুত ওজন কমিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া মানার কারণেই কি অসুস্থ হয়ে পড়লেন লেখিকা? তবে তসলিমা তো বটেই, তাঁর ঘনিষ্ঠদের সূত্রেও রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি, কী হয়েছে লেখিকার!
আরও পড়ুন: Book Review: গালিব আর মান্টো মিলেছেন ‘দোজখনামা’য়, ইতিহাস কথা কয় এই বইয়ে