Author, ex-MP Panna Kaiser no more

Panna Kaiser: না ফেরার দেশে বরেণ্য লেখক শহীদজায়া পান্না কায়সার, শোক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার

বরেণ্য লেখক-গবেষক, বুদ্ধিজীবী, শিশু-কিশোর আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের সহধর্মিণী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা।শুক্রবার সকাল ১১টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান পান্না কায়সার। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।

পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কারফিউ ছিল। পুরো দেশ তখন গণ-আন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লা কায়সারের হাত ধরে তার পরিচয় আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, রাজনীতির সঙ্গে। তার সংসার জীবন স্থায়ী হয় মাত্র দুই বছর ১০ মাসের মতো। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লা কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেননি।

আরও পড়ুন: Surjotamosi Review : চাইনিজ গুপ্তসঙ্ঘ, ফ্রি ম্যাসন, কালোজাদু – রহস্যের ঘনঘটা উনিশ শতকের ‘কলিকাতা’য়

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা’র স্লোগানে পরিচালিত শিশু কিশোরদের সংগঠন খেলাঘর নিয়ে আজীবন সক্রিয় ছিলেন তিনি। পান্না কায়সার সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।পান্না কায়সার বাংলাদেশের মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর।

পান্না কায়সারের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে; মুক্তি; নীলিমায় নীল; হৃদয়ে বাংলাদেশ; মানুষ; অন্য কোনখানে; তুমি কি কেবলি ছবি; রাসেলের যুদ্ধযাত্রা; দাঁড়িয়ে আছ গানের ওপারে; আমি; না পান্না না চুনি; অন্য রকম ভালোবাসা ও সুখ। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদানের জন্য ২০২১ সালে পান্না কায়সারকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের হয়ে এমপি হন। পেশা হিসেবে বেছে নেন শিক্ষকতাকে।

আরও পড়ুন: Samaresh Majumdar: প্রথম গল্প লিখে পেয়েছিলেন ১৫ টাকা! ফিরে দেখা সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত লেখকের জীবন