‘একেনবাবু’র লেখক সুজন দাশগুপ্তর (Sujan Dasgupta) অস্বাভাবিক মৃত্যু। বুধবার সকালে লেখকের কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। লেখকের দেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেই খবর।
৫০ বছর ধরে তিনি আমেরিকাতেই থাকতেন। তবে আমেরিকাবাসী সুজন দাশগুপ্ত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাস করছিলেন কলকাতার এই অ্যাপার্টমেন্টে। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন লেখক।
জানা যাচ্ছে যে, সুজন দাশগুপ্তর স্ত্রী মঙ্গলবার শান্তিনিকেতন গিয়েছিলেন, বাড়িতে একাই ছিলেন লেখক। তাঁদের একমাত্র মেয়ে থাকেন আমেরিকায়। পরিচারিকা কলিং বেল বাজাতে দরজা না খোলায় অ্যাপার্টমেন্টের সিকিউরিটিকে ডাকেন পরিচারিকা। তাঁরা দরজা না ভাঙতে পারায় ডাকা হয় পুলিসকে ও লেখকের শ্যালককে। সার্ভে পার্ক থানার পুলিস এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। দরজাটি ভিতর থেকে লক করা ছিল। ঘরে ঢুকে দেখা যায় বেডরুমের মেঝেতে ওয়াশরুমের সামনে পড়ে রয়েছেন লেখক।
সুজন দাশগুপ্তর রহস্য মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে সার্ভে পার্ক থানার পুলিস। জানা যাচ্ছে আজই তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, লেখকের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। দীর্ঘ দিন ধরে সুগার ও প্রেসারের সমস্যায় ভুগছিলেন লেখক। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কলকাতায় ছুটে আসছেন পরিবার।
১৯৬৭ সাল থেকে আমেরিকায় থাকেন লেখক। মূলত নিউ জার্সির বসিন্দা তিনি। সেখানে বসেই নিজের ভাবনায় সৃষ্টি করেছেন একেন চরিত্রের। সুজন দাশগুপ্তের তৈরি একেন বাবু চরিত্রটি তুমুল জনপ্রিয়। একেন বাবুকে নিয়ে অসংখ্য গোয়েন্দা গল্প লিখেছেন তিনি। সেই সব গল্প থেকে তৈরি হয়েছে ওয়েবসিরিজ ও সিনেমাও। একেন বাবুর চরিত্রে অভিনয় করেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। লেখকের মৃত্যুতে কার্যত হতবাক পর্দার একেন।
আরও পড়ুন: Taslima Nasrin: নিজের ‘মৃত্যু’র খবর দেওয়ার পর হাসপাতালে তসলিমা নাসরিন! কী হল লেখিকার?