বিশ্ব কবিতা দিবস আজ সোমবার (২১ মার্চ)। বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা ও প্রকাশনাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো এই দিনটিকে বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ঘোষণার সময় বলা হয়েছিল-‘To give fresh recognition and impetus to national, regional and international poetry movements’।
জানা গেছে, এর আগে ৫ অক্টোবর বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে পালিত হতো। পরবর্তী সময়ে বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রোমান মহাকাব্য রচয়িতা ও সম্রাট অগস্টাসের রাজকবি ভার্জিলের জন্মদিন স্মরণে ১৫ অক্টোবর এই দিন পালনের প্রথা শুরু হয়। ইউনেস্কো ঘোষিত ২১ মার্চকে অগ্রাহ্য করে এখনও কোথাও কোথাও অক্টোবর মাসেই পালিত হয় কবিতা দিবস। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এ দিবসটি পালিত হয় এপ্রিলে।
অবাক করার মত বিষয় হল এই প্রজন্ম এখনও কবিতা পড়ে। বর্তমান প্রজন্মের তো বটেই, আগের প্রজন্মের কবিদের বইও এখনও বিস্তর জনপ্রিয়। তেমনই বলছেন কলেজ স্ট্রিটের বই বিক্রেতারা। কলেজ স্ট্রিট চত্বরের নামজাদা বইয়ের দোকানের কর্ণধার এবং প্রকাশক শুভঙ্কর দে’কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কবিতার বইয়ের চাহিদা মোটেই কমেনি। বরং এখনও কবিতার বই বিপুল পরিমাণে বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: Sunil Gangopadhyay: জন্মবার্ষিকীতে ফিরে দেখা সুনীল গাঙ্গুলির শ্রেষ্ঠ পাঁচ সৃষ্টি
ওই এলাকার আর এক বিক্রেতা নাজবুল মল্লিকের কথা থেকেও। বর্তমান প্রজন্মের পাঠকরাও কবিতার বইয়ের খোঁজ করেন প্রচুর পরিমাণে। বিক্রির নিরিখে কোন বাঙালি কবিদের বই সবচেয়ে এগিয়ে? কী বলছেন কলেজ স্ট্রিট চত্বরের বিক্রেতারা? এই বিষয়ে শুভঙ্করবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বেছে নিয়েছেন কয়েক জন কবিকে।
জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, শ্রীজাত, রণজিৎ দাশ,একরাম আলি,মৃদুল দাশগুপ্ত -হলেন বর্তমান সময়ের ‘হট কেক’ কবি। এঁদের কবিতা বইয়ের চাহিদা সবসময়ই বেশি। আর পুরনো বইয়ের দোকানে কোন কোন বাঙালি কবির বইয়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়? নাজবুল মল্লিক বলছেন, বিক্রি এবং চাহিদার নিরিখে যে পাঁচজন সকলের আগে, তাঁরা হলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, বিষ্ণু দে এবং সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
আরও পড়ুন: নিজে গোল্ড মেডেল পাওয়া ছাত্র, টেনিদা’কে টানা সাত বছর ফেল করালেন স্রষ্টা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়