বাজেট নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী নেতারা। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এই বাজেটকে ‘কুর্সি বাঁচাও বাজেট’ বলে কটাক্ষ করেছেন। এক্স হ্যান্ডলে বায়বেরেলির কংগ্রেস সাংসদ লেখেন, “শরিকদের তুষ্ট করার বাজেট।” রাহুলের অভিযোগ ‘এএ’-কে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। এই বাজেট আগের বাজেটগুলি আর কংগ্রেসের ইস্তেহারের ভাবনা থেকেই মূলত কপি পেস্ট করে তৈরি হয়েছে এই বাজেট।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, ‘এই বাজেট কংগ্রেসের ইস্তাহারের অনুকরণ’ । সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের অভিযোগ, শরিকদের খুশি করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
শশী থারুর বলেন, ‘বাজেটে আমাদের দেশের মানুষেরা মূল যে সমস্যাগুলির মুখোমুখি হচ্ছেন তা নিয়ে কিছু শুনতে পাইনি। এখানে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কোনও কিছুর উল্লেখ নেই। সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধিতে আমি কোনও পদক্ষেপ লক্ষ্য করিনি। দেশে আয় বৈষম্য নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ নগন্য। কর্মসংস্থা তৈরিতে প্রতীকী যে পদক্ষেপ করা হয়েছে তা খুবই সামন্য ও অনিশ্চিত।’
মহারাষ্ট্রের জন্য আলাদা বরাদ্দ না থাকায় উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আদিত্য ঠাকরের প্রশ্ন, “বুঝলাম সরকার বাঁচাতে অন্ধ্র এবং বিহারকে বাড়তি টাকা দেওয়া হল। কিন্তু বিজেপিকে তো একনাথ শিণ্ডেও সমর্থন করেন। মহারাষ্ট্র কী পেল? মহারাষ্ট্রের দোষটা কী?
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সিতারাম ইয়েচুরি বলেন , নির্মলা সীতারামনের বাজেটে কোথাও ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোনও কথা নেই। যা নিয়ে কথা বলা উচিত ছিল।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিহারকে সাহায্যের যে সব গপ্পো শোনানো হচ্ছে তা আসলে ‘ঝুনঝুনা ‘ বহুজন সমাজপার্টি প্রধান মায়াবতী প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন ২০২৪-২৫ এর এই বাজেট দরিদ্র, বেকার, কৃষক, মহিলা, প্রান্তিক ও অবহেলিত বহুজন ও প্রান্তিকদের জন্য হতাশাজনক।