দীপাবলির দিন অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর বিধ্বংসী সাইক্লোন আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গে। তার মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নের (Nabanna) তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য কালীপুজো ও দীপাবলিতে (Diwali) সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হল। এই মুহূর্তে যাঁরা ছুটিতে রয়েছেন, তাঁদের ২২ অক্টোবরের মধ্যেই কাজে যোগ দিতে হবে। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন (Nabanna) থেকে। মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন, সব ছুটি বাতিল করে আগামিকাল অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করবেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় সিত্রাং নিয়ে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা মুখ্যসচিবের। সেই বৈঠকে থাকবেন প্রধান সচিব (Principal Secretary)-সহ অন্য আধিকারিকরা। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতেই এই বৈঠক বলে নবান্ন সূত্রে খবর। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কবার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “একটা ঘূর্ণিঝড়ের কথা শোনা যাচ্ছে। বাইরে বেরোবেন না। আমাদের কাছে দিল্লি থেকে ফোন এসেছে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কীকরণ নিয়ে। আমরা উপকূল এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে দিচ্ছি। প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটু সাবধানে থাকবেন। আমফান ১০-১৫ মিনিটের জন্য ১২০ কিলোমিটার বেগে ছুটেছিল। কিন্তু যেটা এবার আসছে, সেটা ২০০ কিলোমিটার বেগে আসছে বলে আমাদের কাছে খবর এসেছে। তাই খুব সতর্ক থাকতে হবে।”
যদি এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়, তাহলে আগামী ২৫ অক্টোবর তা আরও বাঁক নিয়ে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে আসবে। এরপর কোনদিকে মোড় হবে তা আন্দাজ করার সময় যদিও এখনই আসেনি বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।
ফের একবার সর্বস্ব হারানোর আশঙ্কায় ভুগছে উপকূলের বাসিন্দারা। ‘সিত্রাং’য়ের (Cyclone Sitrang) প্রত্যক্ষ প্রভাব যদি বঙ্গে পড়ে, সেক্ষেত্রে মানুষকে কোথায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তাও ঠিক রাখতে বলা হয়েছে।সবমিলিয়ে দুর্যোগের মোকাবিলা করতে আগেভাগেই কোমর বাঁধছে নবান্ন। এদিন ছুটি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি তারই প্রমাণ।