রাজ্যের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের জের। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলছে৷ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে৷এই অবস্থায় স্কুল পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করে জরুরি বৈঠক ডাকলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৈঠকে হাজির থাকবেন স্কুল শিক্ষা সচিব ও আধিকারিকরা।
অন্যদিকে,বিকাশ ভবন সোমবার নির্দেশ দিয়েছে, গরমে সুস্থ থেকে পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে যেতে পারে, সেই জন্য প্রাথমিক, এসএসকে, এমএসকে থেকে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক— সব স্তরেই ‘মর্নিং স্কুল’ অর্থাৎ সকালে স্কুল চালু করতে হবে। সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মর্নিং স্কুল চালু হলেও পড়াশোনায় যাতে কোনও রকম ঘাটতি না-হয়, সেটা দেখতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই। সব ক্লাস যাতে নির্দিষ্ট সময়ে হয়, তা নিশ্চিত করার যাবতীয় দায়িত্ব তাঁদেরই। তবে কবে থেকে সকালে স্কুল চালু হবে, নির্দেশিকায় সেটা স্পষ্ট করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বিমান ওড়ানোর স্বপ্ন দু’চোখে?? জেনে নিন পাইলট হওয়ার পদ্ধতি
কোনও স্কুল যদি ‘মর্নিং স্কুল’ হয়ে উঠতে না-পারে অর্থাৎ সকালে পঠনপাঠন চালু করতে না-পারে, সে-ক্ষেত্রে গরম থেকে রক্ষা পেতে পড়ুয়াদের কী কী করতে হবে এবং স্কুলকে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, স্বাস্থ্য অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে তা ঠিক করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে বিকাশ ভবনের নির্দেশিকায়। জানানো হয়েছে, গরমের মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ‘গাইডলাইন’ বা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
সরকারি স্কুলে এ বছর ২৪ মে থেকে গরমের ছুটি পড়ার কথা। আগামী ৪ জুন পর্যন্ত চলবে গরমের ছুটি। অর্থাৎ এ বছর মাত্র ১১ দিন গরমের ছুটির জন্য ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু দিনে দিনে গরম যে হারে বাড়ছে, তাতে ২৪ মে পর্যন্ত কি গরমের ছুটির জন্য অপেক্ষা করা যাবে? শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়াদের অভিভাবক— সকলেরই এই এক প্রশ্ন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই ২৮ এপ্রিল থেকে পুরোদমে ক্লাস চালু হওয়ার কথা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে গরমের ছুটি কতটা এগিয়ে আনা যাবে, তা এখন শিক্ষা দফতর বিবেচনা করে দেখবে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ডিগ্রি স্বীকৃত নয় ভারতে, মিলবে না চাকরি, সাফ জানাল UGC-AICTE