এবার CBSC – ISC বোর্ডের পরীক্ষা হবে বছরে দু’বার। সঙ্গে একাদশ ও দ্বাদশের পাঠক্রমে থাকতে হবে দুটি ভাষা। যার মধ্যে অবশ্যিক একটি ভারতীয় ভাষা। সম্প্রতি কেন্দ্রের শিক্ষানীতিতে এল এমনই বড় পরিবর্তন।
২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির অনুসরণ করে তৈরি জাতীয় পাঠক্রম পরিকাঠামো (ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক বা এনসিএফ) অনুযায়ী এই পদক্ষেপ বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছেন।শিক্ষা মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা জানাচ্ছে, পরীক্ষার্থীদের সিবিএসই এবং আইসিএসই বোর্ডের পরীক্ষা বছরে দু’বার দিতে হবে। কোনও পরীক্ষার্থী যে পরীক্ষাটিতে বেশি নম্বর পাবে, সেটি অনুযায়ী তাকে শংসাপত্র দেওয়া হবে। একাদশ-দ্বাদশের পড়ুয়াদের এ বার থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে অন্তত একটি ভারতীয় ভাষা-সহ দু’টি ভাষা পড়তে হবে বলেও শিক্ষা মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। ২০২৪ সাল থেকেই এ সংক্রান্ত বদল কার্যকর হবে জানিয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ওই সময় থেকেই চালু হবে নতুন পাঠ্যপুস্তক।
শিক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, জাতীয় শিক্ষানীতির আধারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দু’বার পরীক্ষায় বসা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। পরীক্ষার্থীরা চাইলে তবেই দুবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নিতে পারবে। আসলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বছরে দু’বার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেই সব পরীক্ষার্থীর কথা বিবেচনায় রেখে যারা কোনও কারণে একবার পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফল করতে পারবে না।
জাতীয় শিক্ষানীতির অংশ হিসেবে পাঠক্রমে ব্যাপক বদলের কথা আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুল পাঠক্রম থেকে গণতন্ত্র সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বাদ দেওয়া হয়েছে। কাঁটছাট হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসে। যদিও পড়ুয়াদের উপর চাপ কমানোর জন্য সিলেবাস বদল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনসিইআরটি। তবে বেছে বেছে বেশ সংবেদনশীল বিষয়ই কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষামহল।
আরও পড়ুন: WBPSC Food SI: রাজ্যে ফুড সাব ইন্সপেক্টর পদে অনলাইনে আবেদন শুরু, মাধ্যমিক পাশেই আবেদন