প্রথম শ্রেণির আগে বই নয়। পরীক্ষা নয় দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত। বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা। এমনই নানা প্রস্তাব দিল জাতীয় শিক্ষানীতি-2020 তথা NEP-র অধীনস্থ ন্যাশনাল ক্যারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক বা NCF। গতকাল, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তাদের প্রাথমিক খসড়া প্রস্তাবে এমন নানা প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তাতে জোর দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের আত্মমূল্যায়নের উপরে।
ওই খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘‘পাঠ্যক্রম এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত, যাতে শিশুপড়ুয়াদের উপর বাড়তি চাপ না পড়ে।’’ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০২২ সালে জাতীয় এবং রাজ্যস্তরে এ সংক্রান্ত সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার ফল পর্যালোচনা করেই এই পদক্ষেপের সুপারিশ। এনসিএফের নয়া খসড়ায় দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার বদলে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। তাতে শিশুর পর্যবেক্ষণ এবং তাদের শেখার অভিজ্ঞতাকে বিশ্লেষণের উপর জোর দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Education News মাধ্যমিকে না থাকলেও ভোকেশনাল বিষয়ে পড়ার সুযোগ একাদশে
এনসিএফের প্রস্তাব, নার্সারি, কেজি ক্লাসে স্কুলেই পড়ুয়াদের শেখানো হবে। প্রথম বই পড়ানো হবে প্রথম শ্রেণিতে। তবে তখন কেবলই ভাষা ও গণিতের বই পড়ানো হবে। এটা চালু থাকবে দ্বিতীয় শ্রেণিতেও। তৃতীয় শ্রেণি থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে।
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির দুই বোর্ড পরীক্ষা (Board exams) এখন এনসিএফের অধীনে। আর সেপ্রসঙ্গে তাদের প্রস্তাব পড়ুয়ারা যেন পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পায় ভাল করার। সেই কারণেই পরীক্ষাটিকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব। যাতে পড়ুয়ারা প্রস্তুতি অনুযায়ী চারটি বিষয় আগে ও পরে বাকি বিষয়গুলির পরীক্ষা দিতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ সালে সিবিএসই এমন ব্যবস্থা চালু করলেও পরের বছরই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু এবার সেই ব্যবস্থাই চালুর প্রস্তাব এনসিএফের। সেই সঙ্গে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা- এই তিন বিভাগও তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: HS Exam Answer Sheet : রাস্তায় উদ্ধার উচ্চমাধ্যমিকের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের উত্তরপত্র! কোচবিহারে শোরগোল