সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা বা নিট বাতিল করে আগের মতো রাজ্যস্তরের মেডিক্যাল প্রবেশিকা চালুর দাবি নতুন নয়। এতদিন এই দাবি উঠত দক্ষিণ ভারত থেকে। মূলত তামিলনাড়ু থেকে। এবার বাংলা থেকেও দাবি উঠল রাজ্যে জয়েন্টের মাধ্যমে মেডিক্যাল প্রবেশিকা ফেরানোর। নিটে ব্যাপক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠতেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রাজ্য ব্রাত্য বসু রাজ্য জয়েন্ট ফেরানোর দাবিতে সরব হলেন।
২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত রাজ্যের বোর্ডগুলি পৃথকভাবে মেডিক্যাল বা জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিত। ব্রাত্য বললেন, “নিট পরীক্ষার নামে দেশজুড়ে কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তা ইতিমধ্যে সকলের কাছে স্পষ্ট। তাই আমরা দাবি জানাব, অতীতের মতো মেডিক্যালে জয়েন্টের পরীক্ষা রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।” একই সঙ্গে কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বাংলার শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তো অনেক কিছু হল। নিটের দুর্নীতির ক্ষেত্রে কি সিবিআই, ইডি একইভাবে তদন্তে নামবে?” কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বরাবরই এজেন্সিকে ব্যবহার করার অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। এদিন ব্রাত্যও বোঝাতে চেয়েছেন, ইডি, সিবিআই আসলে বিজেপির নির্দেশ ছাড়া এক পা নড়ে না।
২০২৪ সালের নিট পরীক্ষায় বিস্তর অসঙ্গতির অভিযোগ তুলছেন পরীক্ষার্থীরা। এ বছর নিট (NEET) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। এই ইস্যুতে সরব গোটা দেশ। নিটের বেনিয়ম প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) বক্তব্য, কেন্দ্র হাজার হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয়স্তরে একটাই মেডিক্যাল পরীক্ষা কেন হবে, তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল কয়েকটি রাজ্য। মামলা গড়িয়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে ২০১৬ সালে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ঠিক হয়, সর্বভারতীয়স্তরে ডাক্তারির একটিই পরীক্ষা হবে। ফলে চাইলেও সহজে রাজ্যের হাতে ফের মেডিক্যালের জয়েন্ট পরীক্ষা ফিরবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে শিক্ষামহলের অভ্যন্তরেও।