নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আগেই সামনে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের নাম। একাধিকবার তাঁকে কেন্দ্রীয় সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়েছে। মানিকের বিপুল সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে। দুর্নীতির সঙ্গে যোগ থাকার কথা বারবার তিনি এড়িয়ে গেলেও, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নাম। গোয়েন্দাদের তদন্তে যা উঠে এসেছে, তাতে মানিকের দুর্নীতি-যোগ আরও জোরাল হচ্ছে।
তাঁর ক্ষেত্রেও পারিবারিক সম্পত্তি ও আয়ের পরিমাণ বড়সড় দুর্নীতির অঙ্গিত তুলে ধরেছে। মানিকের জায়গায় এখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নয়া সভাপতি হয়েছেন গৌতম পাল। তিনি পর্ষদকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতির ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সব দুর্নীতির অন্যতম ছিল, রাজ্যের বেসরকারি ডিএলএড কলেজগুলির(D EL ED Collges) বিরুদ্ধে ওঠা প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট বিক্রি করার অভিযোগ। সেই দুর্নীতি কাণ্ডেই এবার রাজ্যের প্রায় ৫০০টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের অনুমোদনই বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। আর তার জেরে কয়েক হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: TET: টেট এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জোড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পর্ষদ
গত সপ্তাহে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি আদালতে যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএড কলেজের পড়ুয়াদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিতেন মানিক ভট্টাচার্য। কোভিডের সময় পড়ুয়াদের কাছ থেকে ওই টাকা নেওয়া হত বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, ৫০০-র ওপর বেসরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। কোভিড-কালে সে সব কলেজ বন্ধ ছিল। ওই সময় প্রতি পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা করে দিতে বলতেন তিনি। পড়ুয়ারা টাকা দিতে না পারায় বেশিরভাগ কলেজ কর্তৃপক্ষই সেই টাকা দিয়ে দিয়েছিল বলে দাবি ইডি-র। টাকা না পেলে নাকি কলেজ কর্তৃপক্ষকে কার্যত হেনস্থা করতেন, হুমকিও দিতেন মানিক।
আরও পড়ুন: Recruitment 2022: ITBP-তে শতাধিক কর্মী নিয়োগ, মাসিক বেতন প্রায় ১ লক্ষ টাকা