সাত সকালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলে। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ, এমনই অভিযোগ অভিভাবকদের। অভিযোগ, স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি একঝাঁক পড়ুয়াকে। আজ থেকেই শুরু নতুন ক্লাসের পঠনপাঠন। যারা স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে, তারা প্রত্যেকেই আগের ক্লাসে উত্তীর্ণ। কিন্তু হাতে পায়নি রিপোর্ট কার্ড। ফলে তা নিয়ে যেমন সমস্যা, তেমনই চড়া রোদের মধ্যে পড়ুয়াদের স্কুলের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। বেলা বাড়তেই স্কুলের কর্মচারীদের সঙ্গে অভিভাবকদের হাতাহাতি শুরু হয়।
অভিভাবকদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নিয়ম অনুসারে তাঁরা স্কুল ফি দিয়েছিলেন, কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য স্কুলের ধার্য করা ফি না দিলে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যে সব অভিভাবকেরা স্কুলের ফি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ৫০ শতাংশ ফি জমা দিয়েছিলেন, সেই সব ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকে দেওয়া হয়নি এ দিন। পরে জুনিয়র সেকশনের কিছু ছাত্রীদের ঢুকতে দেওয়া হলেও সিনিয়রদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: Coal India 2022: দ্বাদশ উত্তীর্ণদের জন্য চাকরির বড় সুযোগ, মাসিক বেতন ৩১ হাজার
এক পড়ুয়া জানায়, এ দিন সে স্কুলে ঢুকতে গেলে তার কাছে রিপোর্ট কার্ড দেখতে চাওয়া হয়। পড়ুয়ার অভিভাবকেরা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ফি দেওয়ায় রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হয়নি তাকে। ওই ছাত্রী জানায়, সরি বলে দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিভাবকেরা জানান, আদালত যে পরিমান বেতন দিতে বলেছিল, সেটাই দেওয়া হয়েছে, তা সত্ত্বেও স্কুল পড়ুয়াদের প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা কালে স্কুল বন্ধ ছিল দীর্ঘ দিন। ক্লাস চলছিল অনলাইনে। অভিভাবকদের অভিযোগ ছিল, স্কুল বন্ধ থাকলেও অন্যান্য ফি নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়েই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, ৮০ শতাংশ টিউশন ফি দিতে হবে অভিভাবকদের। এর আগে গত বছর হাই কোর্ট জানিয়েছিল, বেসরকারি স্কুলের বেতন নিয়ে যতই বিতর্ক থাক, কোনও পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ২ এপ্রিল থেকে নিজের স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক, খাতায় ‘খেলা হবে’ স্লোগান লেখা থাকলেই বাতিল উত্তরপত্র