২৪ ডিসেম্বর রবিবার ছিল প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বেলা ১২টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ঘিরে ফের নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমনকী ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে বলে দাবি পরীক্ষার্থীদের একাংশের।
রবিবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)। আড়াইটেতে শেষ হয় পরীক্ষা। অভিযোগ, দুপুর ১টা নাগাদ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরপত্রের একাংশ। ফেসবুকের একটি পেজ যার নাম ‘WB TET SLST SET CTET preparation’ সেই পেজ থেকে পোস্ট করা হয় একটি প্রশ্ন পত্র। এরপর আজ পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর চাকরি প্রার্থীরা দাবি করছেন টেটের ‘এ’ সেটের মূল প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল রয়েছে ভাইরাল হওয়া ওই প্রশ্নের।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম জানিয়েছেন, একে ‘ফাঁস’ বলা যাবে না। কেন তিনি এই কথা বলছেন, সেই যুক্তিও দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ১টা নাগাদ উত্তরপত্রের ওই অংশ দেখা গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। ৮০০-র কাছাকাছি কেন্দ্র। সেখানে মোবাইল চেক করে তার পর পরীক্ষার্থীদের ঢোকানো হয়েছে। যাঁদের সঙ্গে মোবাইল ছিল, আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সমাজমাধ্যমের ওই পোস্ট থেকে কোনও পড়ুয়া উপকৃত হননি। কারণ তাঁরা ১১টায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেছেন।’’ গৌতমের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত কেউ কেউ নাম খারাপ করার চেষ্টা করছেন। তবে এ বার পরীক্ষার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন না তিনি। পরিবর্তে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তাঁর সচিব।
আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেছেন, “যারা পরীক্ষা নিচ্ছেন বা পরীক্ষা নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এরা পরোক্ষে বা প্রত্যক্ষে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। দুর্নীতিমুক্ত কোনও কিছুই করতে পারে না। এরা ছাত্রদের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত করে দেয়।” তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, “এগুলো ভয় তৈরি করার জন্য করা হয়। বহু জায়গায় এমন কোনও ব্যক্তি রয়েছেন যারা কেউ সিপিএম বা বিজেপি সমর্থক, তারা এই কাজ করতেই পারেন। কিন্তু আসল বিষয় হল যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে সেই সময় পরীক্ষার্থীরা হলের ভিতরেই রয়েছেন।”