বিয়ে হয়েছে কিছু দিন আগেই। বিয়ের নানা রীতির ছবিও পোস্ট করেছিলেন তাঁরা। তবে এই প্রথম বধূবেশে দেখা মিলল অদিতি রাও হায়দারির। সঙ্গে বর বেশে সিদ্ধার্থ। বিবাহ পর্বের মূল আচারের ছবি এই প্রথম প্রকাশ্যে আনলেন তারকা দম্পতি। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে।
রাজস্থানের ২৩৩ বছরের পুরনো আলিলা দুর্গে। দুর্গ প্রাকারে দাঁড়ালেই চোখ টানে আরাবল্লী পাহাড়ের সৌন্দর্য।গ্রানাইটের টিলার উপরে তৈরি বিষাণগড়ের আলিলা দুর্গ। দুর্গের ধূসর দেওয়ালে সাদা ফুলের সমারোহ। এ ভাবেই সাজানো হয়েছিল বিয়ের বাসর। খোলা আকাশকে সাক্ষী রেখে প্রকৃতির মাঝে আজীবন একসঙ্গে পথ চলার শপথ নেন তাঁরা। এ বার অদিতি নিজেকে সাজিয়েছিলেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের তৈরি লাল লেহঙ্গায়। সঙ্গে মিনাকারি রত্নখচিত গয়না। হাতের তালুতে জ্বলজ্বল করছে আলতা রাঙানো চাঁদের নকশা। সিদ্ধার্থ সুপুরুষ সাদা রঙের শেরওয়ানিতে। সঙ্গে একই রঙের উত্তরীয়।
দম্পতির আদুরে ফটোশুটের ছবির পাশাপাশি বিয়ের মুহূর্তের ছবি দেখা গেল। একটি ছবি বিয়ের সময় আবেগে চোখের জলে ভাসতে দেখা গেল সিদ্ধার্থকে। ছবি পোস্ট করে দম্পতি ক্যাপশনে লেখেন, ‘জীবনে একে অন্যকে আঁকড়ে বাঁচাই শ্রেষ্ঠ’।
চলতি বছরে ১৬ সেপ্টেম্বর ঘরোয়া ভাবে বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন কেবল দুই পরিবারের সদস্যেরা। সেই সময় তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন ৪০০ বছরের পুরনো শ্রী রঙ্গনায়িকা স্বামী মন্দির। সেই সময় বিয়ের সাজের জন্য সাদা পোশাক বেছে নিয়েছিলেন তাঁরামঙ্গল। পরে অদিতি জানিয়েছিলেন, আমি ইচ্ছা করেই এই দিনের জন্য প্রচুর প্ল্যানিং করিনি। যে মন্দিরে আমাদের বিয়ে হয় সেটা ৪০০ বছর ধরে আমার পরিবারের অংশ, আমার পূর্বপুরুষদের তৈরি। ওই মন্দিরের প্রতি আমার পরিবারের বিশেষ আবেগ আছে। আমি যেহেতু আমার দাদু-দিদার খুব কাছের, তাই ওই মন্দিরে বিয়ে হওয়ায় মনে হয়েছিল যে ওঁরা আমার সঙ্গে রয়েছেন। ওঁদের আশীর্বাদ আমার জন্য সব কিছু। শুধু আমাদের পরিবার ছিল, আমাদের ভাইবোনেরা ছিলেন এবং অবশ্যই সিড আর আমি – সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ – ছিলাম।’