দীর্ঘ লড়াই শেষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল, ২০ নভেম্বর, দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। গত ১ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে ঐন্দ্রিলার। কোমায় চলে যান তিনি। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। আর ফিরল না জ্ঞান। হাসপাতালেই প্রয়াত হলেন অভিনেত্রী।
দু-দু’বার মারণ রোগ থাবা বসিয়েছিল তাঁর শরীরে। দু’বারই ক্যানসারকে নকআউট করে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রেন স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাকের ছোবলের সঙ্গে বিপুল লড়েও জেতা হল না অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma)। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হওয়ার পর আত্মীয় ও অনুরাগীদের আশা জন্মাচ্ছিল, হয়তো এই বার চেতনা ফিরবে তাঁর। কিন্তু তারপরই আবার হার্ট অ্যাটাক। একবার নয়, বারবার। হাজার চেষ্টা করেও কোমা থেকে আর কোনওভাবেই ফেরানো গেল না তাঁকে। না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি? সব্যসাচীর পোস্টে বাড়ল উৎকণ্ঠা
গত ১৪ নভেম্বর থেকে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হৃদ্যন্ত্র স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছিল বার বার। শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে বার দশেক কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। অতীতে দু’বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ঐন্দ্রিলা। ২০১৫ সালে, একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম বার ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর। কর্কট রোগের আক্রমণ হয়েছিল তাঁর অস্থিমজ্জায়। দ্বিতীয় বার ২০২১ সালে। সে বার ফুসফুসে টিউমার। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই চলেছে তাঁর অভিনয়ের কাজ।
কালার্স বাংলার ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে বাংলা টেলিভিশনের জগতে নিজের অভিনয় সফর শুরু করেন ঐন্দ্রিলা। স্টার জলসার ‘জীবন জ্যোতি’ ধারাবাহিকেও মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তুলির ভূমিকায়।
আরও পড়ুন: Tabassum Govil: প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ও সঞ্চালক তাব্বাসুম, বয়স হয়েছিল ৭৮