Aindrila Sharma's Mother Shikha Sharma Post About Her Daughter

Aindrila Sharma : ‘আমার সব্যর ঐন্দ্রিলা’, মেয়ের মৃত্যুর ৭ দিন পর পোস্ট শিখা শর্মার

গত রবিবার প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। মাত্র ২৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন ‘জিয়ন কাঠি’ অভিনেত্রী। ছোট মেয়ের অকাল মৃত্যুর ধাক্কা সামলে উঠতে পারছে না পরিবার। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়াকে বিদায় জানিয়েছেন সব্যসাচী। তবে অভিনেত্রীর দিদি এবং মা মনের যন্ত্রণা উজার করে দিয়েছেন ফেসবুকে। প্রয়াত অভিনেত্রীর নানান স্মৃতি ভাগ করে নিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে।

মেয়ে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে তাঁর ‘জিয়নকাঠি’ সব্যসাচীর এক টুকরো স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন মা শিখা শর্মা।  সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা অভিনীত ধারাবাহিকের একটি ছবি পোস্ট করে শিখা শর্মা লিখেছেন, ‘আমার সব্যর ঐন্দ্রিলা’। ছবিটি অবশ্য অনস্ক্রিনের ছবি। ২০১৭ সালে ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দুজনে। সেই সিরিয়ালের ছবি এটি। চোখে চোখে, ঐন্দ্রিলার গালে আলতো করে হাত দিয়ে রয়েছেন সব্যসাচী। প্রেমে ভরা চাউনি পরস্পরের। এক নেটিজেন এই ছবির সঙ্গে অরিজিৎ সিং-এর একটি মনছোঁয়া গান লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন সেটি শেয়ার করেছেন শিখা দেবী। তাঁর লেখা ক্যাপশন দেখে আবেগপ্রবণ সকলে।

আরও পড়ুন: Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলার গালে চুমু খেয়েই যাচ্ছেন ঐশ্বর্যা, ভিডিয়ো দেখে চোখে জল নেটপাড়ার

শিখা শর্মা লিখেছেন, ‘সত্যিই কি করে আর বলবে তোকে ঐন্দ্রিলা’। এছাড়াও ফেসবুকে ঐন্দ্রিলার নানান স্মৃতি ভাগ করে নিচ্ছেন অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা। লিখেছেন, ‘এখন ঐন্দ্রিলার এই সব স্মৃতি নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে।’ শনিবার ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য বোনের একটি ছোট্ট ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে একটি ক্যাফেতে ঐন্দ্রিলার দেখা মিলেছে। এই ভিডিয়ো প্রয়াত অভিনেত্রীর মা শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই হাসি এই মুখটা দেখেই তো বেঁচে থাকবো’।

কঠিন পরিস্থিতিতে ঐন্দ্রিলা ও তাঁর পরিবারের পাশে সবসময় থেকেছেন সব্যসাচী। যতরকমভাবে একটা মানুষকে আগলে রাখা যায়, সেই চেষ্টা করেছেন তিনি। যদিও শেষমেশ গত ২০শে নভেম্বর সব্যসাচীর হাতটা চিরকালের মতো ছেড়ে না-ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। বিদায়বেলায় ঐন্দ্রিলার পায়ে সব্যসাচীর মাথা ঠেকানোর দৃশ্য নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে! ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার সময় একটি মুহূর্তের জন্য তাঁর থেকে দূরে যাননি অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। শেষমুহূর্ত পর্যন্ত ‘ঐন্দ্রিলার সব্যসাচী’ তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। এভাবে কাছের মানুষটির চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি তিনিও। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পরপরই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ডিলিট করে দেন সব্যসাচী চৌধুরী।

আরও পড়ুন: Arijit Singh: লাইভ কনসার্টের প্রিমিয়াম টিকিটে থাকছে মদ, খাবার! দাম শুনলে রাতে ঘুম আসবে না